স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে হ্যালো নামের হেডব্যান্ড
স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে হ্যালো নামের হেডব্যান্ড

লুসিড ড্রিমিং ব্যান্ড: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি এবার স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণ করবে

স্বপ্নেও সজাগ থাকাকে বলা হয় লুসিড ড্রিমিং। এমনকি লুসিড ড্রিমিংয়ের ফলে ব্যক্তি যে স্বপ্ন দেখছেন, তা তিনি বুঝতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। বলা হয়, লুসিড ড্রিমিংয়ের ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যেও উৎপাদনশীল হতে পারে। এবার প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনী উদ্যোগ (স্টার্টআপ) প্রোফেটিক ‘হ্যালো’ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) মাথায় পরার ব্যান্ড (হেডব্যান্ড) নিয়ে এসেছে, যা লুসিড ড্রিমিংয়ের জন্য সহায়ক হবে। যন্ত্রটিতে আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এটি এমন একধরনের শব্দ উৎপাদন করে, যার কম্পাঙ্ক মানুষের শ্রবণসীমার ঊর্ধ্বে। ফলে মানুষ এই শব্দ শুনতে পায় না। হেডব্যান্ডটির এই আলট্রাসাউন্ড মানুষকে লুসিড ড্রিম দেখাতে সাহায্য করবে।

প্রোফেটিকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মানুষ যখন ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে ও স্বপ্ন দেখে, তখন এই যন্ত্রের আলট্রাসাউন্ড ও উন্নত কম্পিউটার প্রোগ্রাম র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট (আরইএম) পর্যায় শনাক্ত করতে পারে। সাধারণত ঘুমের আরইএম পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে থাকে। এ জন্য ইইজি ও এফএমআরএইর মাধ্যমে মস্তিষ্কের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এভাবে যন্ত্রটি মানুষকে লুসিড ড্রিম দেখতে সহায়তা করে। এমনকি মানুষ স্বপ্নের মধ্যেও সজাগ থাকে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মানবজীবনের অন্যতম রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।

এর আগে প্রোফেটিক লুসিড ড্রিমিং ও তাদের হেডব্যান্ডের কার্যক্রমের ফলাফলের গবেষণায় অংশ নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবী খুঁজছিল। এখন প্রতিষ্ঠানটি একটি নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করেছে, যার মাধ্যমে যে কেউ লুসিড ড্রিমিংয়ের জন্য এই গ্যাজেট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। তবে যাঁরা যন্ত্রটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১০০ ডলার জমা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পরে যাঁরা যন্ত্রটি কিনবেন, তাঁরা যন্ত্রের মোট মূল্য থেকে ১০০ ডলার কম দেবেন। যন্ত্রটির আনুমানিক দাম ধরা হয়েছে ২ হাজার ডলার। অবশ্য যাঁরা যন্ত্রটি কিনবেন না, তাঁরা তাঁদের জমা দেওয়া ১০০ ডলারের পুরোটা ফেরত পাবেন।

প্রোফেটিকের তৈরি হ্যালো ব্যান্ড

অবশ্য প্রোফেটিকের হ্যালো যন্ত্রটি শতভাগ কাজ করে কি না এটি এখনো নিশ্চিত নয় ও এমন কোনো প্রমাণও মেলেনি। তবে ২০২৫ সাল থেকে যন্ত্রটি বাজারে ছাড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। অনেকেই বলছেন, মানুষ যেহেতু তাঁর মোট আয়ুষ্কালের এক-তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়ে থাকেন, তাই যন্ত্রটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
সূত্র: দ্য সান ডট কো ডট ইউকে