নারী উদ্যোক্তাদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ
নারী উদ্যোক্তাদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ

৫০ হাজার টাকা করে ২৩২ নারী উদ্যোক্তাকে অনুদান দিল কম্পিউটার কাউন্সিল

দেশের ৪০টি জেলার নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, পণ্য ও সেবার মান উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অনুদান পাওয়া নির্বাচিত তিন উদ্যোক্তা মুমতাহিনা কেয়া, তৃষ্ণা দিও ও সাদিয়া আলমের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ। নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই), উইমেন আইসিটি ফ্রন্টিয়ার ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইফাই) ও তৃষ্ণা আইটি ইনস্টিটিউটের ২৩২ জন নারী উদ্যোক্তা এ অনুদান পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, বর্তমানে দেশে উদ্যোক্তাদের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। নারী উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও কাজ করছেন তাঁরা। আর তাই নারীদের প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। ইন্টারনেটের দাম কমানো থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ ও অনুদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তারা যেন সফল হন, উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা বিস্তৃত করতে পারেন, সে জন্য আইসিটি বিভাগ কাজ করছে।

অনুদান পাওয়া নারী উদ্যোক্তা ফারিয়া আবদিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছি। অনলাইনে আত্মকর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানও করেছি। এই অনুদান ব্যবসার পরিধি বাড়াতে সাহায্য করবে।’

বাক্প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তা ও চিত্রশিল্পী সাদিয়া আলম রাজশাহীতে অনলাইন ব্যবসা করছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধীতা থাকার পরও আমি অনলাইনের মাধ্যমে আমার সৃজনশীলতাকে পুঁজি করে উদ্যোক্তা হয়েছি। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সুযোগ পেলে আরও বড় আকারে কাজ করতে চাই। এই অনুদান প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’

ঢাকার উদ্যোক্তা রায়াহানা তামান্না শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। অনুদান পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে আমি এখন স্বাবলম্বী। এ ধরনের অনুদান আমাকে অনুপ্রাণিত করবে ভালোভাবে ব্যবসা করতে। আমি আইটিতে নিজেকে আরও দক্ষ করতে অনুদানের অর্থ খরচ করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। আরও উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ এবং উইমেন ইন ই-কমার্স (উই) ট্রাস্টের সভাপতি ও ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার।