প্রযুক্তির এই দিনে: ১৭ জুলাই

ই-মেইল ব্যবস্থায় বড় বিপর্যয়

প্রোগ্রামিং ত্রুটির কারণে ই-মেইল আদান-প্রদান ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয়। লাখ লাখ ই-মেইল ‘আনসেন্ট’ অবস্থায় থাকে।

১৭ জুলাই ১৯৯৭
ই-মেইল ব্যবস্থায় বড় বিপর্যয়
প্রোগ্রামিং ত্রুটির কারণে এই দিন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-মেইল আদান-প্রদানের ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় হয়। প্রাপকের ঠিকানায় না পৌঁছে লাখ লাখ ই-মেইল ‘আনসেন্ট’ অবস্থায় থাকে। গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ১৭ জুলাই সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একজন কম্পিউটার অপারেটর ইন্টারনেট ঠিকানা হালনাগাদ করার একটি সতর্কসংকেত উপেক্ষা করেন। এই সতর্কসংকেত ছিল বেশ কিছু কম্পিউটারের জন্য। সতর্কসংকেত উপেক্ষা করায় আর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেশির ভাগ ইন্টারনেট ঠিকানায় (বা ইন্টারনেট প্রটোকল—আইপি) ঢোকা যাচ্ছিল না। ফলে লাখ লাখ ই-মেইল বার্তা আনসেন্ট অবস্থায় থেকে যায়।

এনইসি সুপার টাওয়ার। টোকিওর মিনাতোয় এনইসির সদরদপ্তর

১৭ জুলাই ১৮৯৯
নিপ্পন ইলেকট্রিক থেকে হলো এনইসি করপোরেশন
জাপানভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনইসি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। আগে এর নাম ছিল নিপ্পন ইলেকট্রিক কোম্পানি লিমিটেড। এনইসি তথ্যপ্রযুক্তি ও নেটওয়ার্ক সমাধানদাতা প্রতিষ্ঠান। এনইসি এখন ক্লাউড কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে। এনইসি বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ সেবাদাতা ও সরকারি সংস্থায় তাদের সেবা ও পণ্য সরবরাহ করে। এনইসি পিসি-৮০০০ সিরিজের কম্পিউটার বাজারে এনে গত শতকের আশির দশক থেকে জাপানের সবচেয়ে বড় পার্সোনাল কম্পিউটার নির্মাতা হয়ে ওঠে।

১৯৯৮ সালে এনইসির তৈরি হাতে বহনযোগ্য কম্পিউটার, চলতো উইন্ডোজ সিই অপারেটিং সিস্টেমে

১৮৯৮ সালের ৩১ আগস্ট জাপানি উদ্যোক্তা কুনিহিকো আইওয়াদারে ও তাকেশিরো মায়েদা নিপ্পন ইলেকট্রিক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। মার্কিন কোম্পানি ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিকের আগ্রহ ছিল জাপানের টেলিফোন বাজারে। পরে নিপ্পন ইলেকট্রিক ও ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিকের যৌথ বিনিয়োগে ১৮৯৯ সালের ১৭ জুলাই এনইসি করপোরেশন জাপানের জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত হয়। জাপানে মার্কিন যৌথ বিনিয়োগে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ঘটনা এটিই প্রথম। বর্তমানে এনইসির কার্যক্রম পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত।