চীন থেকে অন্য কোনো দেশে প্রথমবারের মতো ই–মেইল পাঠান অধ্যাপক কিয়ান তিয়ানবাই। চীনের এই প্রথম ই–মেইলের শিরোনাম ছিল ‘মহাপ্রাচীর পেরিয়ে পৃথিবীতে যোগ দিতে’।
সফলভাবে প্রথমবারের মতো চলে ফোট্রান প্রোগ্রাম। ফর্মুলা ট্রান্সলেটরের সংক্ষিপ্ত রুপ ফোট্রান।
বিশ্বে সাংকেতিক বার্তা (এনক্রিপশন) পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলো আরএসএ অ্যালগরিদম। ১৯৭৭ সালে তৈরি হওয়ার ছয় বছর পর এটি পেটেন্ট পায়।
২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭
চীন থেকে অন্য দেশে পাঠানো হলো প্রথম ই-মেইল
চীন থেকে অন্য কোনো দেশে প্রথমবারের মতো ই–মেইল পাঠান অধ্যাপক কিয়ান তিয়ানবাই। চীনের এই প্রথম ই–মেইলের শিরোনাম ছিল ‘মহাপ্রাচীর পেরিয়ে পৃথিবীতে যোগ দিতে’। অধ্যাপক কিয়ান ছিলেন চীনের ইন্টারনেট প্রকল্প সিএনেটের (চায়নিজ অ্যাকাডেমিক নেটওয়ার্ক) দায়িত্বে। ১৯৮৬ সালে বেইজিং মিউনিসিপ্যাল কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কার্লস্রুহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি যৌথ বৈজ্ঞানিক গবষেণা শুরু করে। সে কারণেই অধ্যাপক কিয়ান জার্মানিতে ই–মেইল পাঠিয়েছিলেন। ৩০০ বিপিএস গতির ইন্টারনেটে কিয়ান মেইলটি পাঠিয়েছিলেন।
২০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪
প্রথমবারের মতো চলল ফোট্রান প্রোগ্রাম
সফলভাবে প্রথমবারের মতো চলে ফোট্রান প্রোগ্রাম। ফর্মুলা ট্রান্সলেটরের সংক্ষিপ্ত রুপ ফোট্রান। আইবিএমের জন ব্যাকাসের নেতৃত্বে ফোট্রান প্রোগ্রাম তৈরি হয়। বীজগণিতের মতো সহজে সূত্র লিখে প্রোগ্রামার যাতে সফটওয়্যারের সংকেত বা কোড লিখতে পারেন, সেটিই ছিল ফোট্রান প্রোগ্রাম তৈরির উদ্দেশ্য। প্রোগ্রামে লেখা বিভিন্ন নির্দেশনা এটি মেমোরিতে রাখত পারত, যাতে কোনো ভুল হলে শুধরে নেওয়া যায়।
ফোট্রান পুরোনো প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর একটি (অপরটি কোবোল)। এখনো বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে ফোট্রানের ব্যবহার দেখা যায়।
২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩
পেটেন্ট পেল আরএসএ অ্যালগরিদম
বিশ্বে সাংকেতিক বার্তা (এনক্রিপশন) পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলো আরএসএ অ্যালগরিদম। ১৯৭৭ সালে এটি তৈরি হয়। সায়েন্টিফিক আমেরিকান জার্নালের কলাম লেখক মার্টিন গার্ডনার এই অ্যালগরিদমের বর্ণনা তাঁর ম্যাথমেটিক্যাল গেমস কলামে লেখেন। তিনি কলামে লেখেন, পাঠকেরা নিজেদের ঠিকানা লেখা ও ডাকটিকিট লাগানো খাম পাঠালে, ফিরতি ডাকে তাঁদের এমআইটির কারিগরি নথি পাঠানো হবে, যাতে আরএসএ অ্যালগরিদমের বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে। তিন হাজারের বেশি পাঠক খাম পাঠিয়েছিলেন। ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির সদস্যরা এ ধরনের তথ্য সহজলভ্য করার ব্যাপারে প্রশ্ন তুললে পাঠকেরা সহসা ফিরতি ডাক পাননি। ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। আরএসএ পেটেন্ট পাওয়ার পর পাঠকেরা সেই খামে আরএসএর বর্ণনা পেয়েছিলেন।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্র ডটওআরজি