চার্লস ব্যাবেজের উদ্ভাবন করা ডিজিটাল প্রোগ্রামেবল কম্পিউটারের ধারণার ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সময়ে আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়।
মুঠোফোনের উদ্ভাবক মার্টিন কুপারের জন্ম
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা মার্টিন কুপার মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মটোরোলার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করার সময় মুঠোফোন আবিষ্কার করেন।
মানুষ নয় যন্ত্র হলো টাইম সাময়িকীর ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’
১৯৮২ সালে সেরা ব্যক্তিত্বের বদলে ‘ব্যক্তিগত কম্পিউটার’কে (মেশিন অব দ্য ইয়ার) ঘোষণা করে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম।
২৬ ডিসেম্বর ১৭৯১
আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসেবে পরিচিত চার্লস ব্যাবেজ। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা ব্যাবেজ ছিলেন একাধারে গণিতবিদ, দার্শনিক, উদ্ভাবক এবং যন্ত্র প্রকৌশলী। তাঁর উদ্ভাবন করা ডিজিটাল প্রোগ্রামেবল কম্পিউটারের ধারণার ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সময়ে আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়। জীবদ্দশায় ব্যাবেজ যান্ত্রিক কম্পিউটার (গণনাযন্ত্র) ‘ডিফারেন্স ইঞ্জিন’ ও ‘অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন’ উদ্ভাবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। যদিও ব্যাবেজ এ দুই যন্ত্রের কাজ শেষ করতে পারেননি। তবে গাণিতিক কাজ করতে সক্ষম অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের বিভিন্ন ধারণা আধুনিক কম্পিউটার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
১৮৭১ সালের ১৮ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন চার্লস ব্যাবেজ। তবে জীবদ্দশায় নিজের বিভিন্ন উদ্ভাবনের মতো ‘ডিফারেন্স ইঞ্জিন’ ও ‘অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন’–এর পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করতে পারেননি তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর ডিফারেন্স ইঞ্জিন তৈরির কাজ শেষ করা হয়।
২৬ ডিসেম্বর ১৯২৮
মুঠোফোন এখন যেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালানো, বিনোদনসহ নানা কাজে এর ব্যবহার বেড়েছে। আর তাই বর্তমানে প্রায় সবার কাছেই নানা প্রতিষ্ঠানের নানা মডেলের মুঠোফোন দেখা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী এ মুঠোফোনের জনক মার্টিন কুপারের জন্মদিন আজ। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা মার্টিন কুপার মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মটোরোলার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করার সময় মুঠোফোন আবিষ্কার করেন। তারহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষ করে রেডিও তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নেও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল নিজের আবিষ্কার করা লম্বা অ্যান্টেনাসহ ইট আকৃতির মুঠোফোনটি দিয়ে প্রথম ফোনকল করেন মার্টিন কুপার। তাঁর তৈরি মুঠোফোনটির ওজন ছিল ৭৮৪ গ্রাম।
২৬ ডিসেম্বর ১৯৮২
বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম প্রতিবছরই সেরা ব্যক্তিত্ব (ম্যান অব দ্য ইয়ার) নির্বাচন করে থাকে। কিন্তু ১৯৮২ সালে সেরা ব্যক্তিত্বের বদলে ‘ব্যক্তিগত কম্পিউটার’কে (মেশিন অব দ্য ইয়ার) ঘোষণা করে সাময়িকীটি। আর তাই টাইমের প্রচ্ছদজুড়ে মানুষের বদলে জায়গা করে নেয় ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ছবি। মেশিন অব দ্য ইয়ার নির্বাচনের কারণ হিসেবে সাময়িকীটি এক প্রবন্ধে জানায়, বছরজুড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন। আর এ কারণে সে বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ১৪ লাখ ব্যক্তিগত কম্পিউটার বিক্রি হয়েছে।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি, কম্পিউটার হোপ