ল্যারি টেসলার
ল্যারি টেসলার

কপি-পেস্টের উদ্ভাবক ল্যারি টেসলারের জন্ম

২৪ এপ্রিল ১৯৪৫

মার্কিন কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও কপি-পেস্ট পদ্ধতির উদ্ভাবক লরেন্স (ল্যারি) গর্ডন টেসলার এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন।

২৪ এপ্রিল ১৯৭০

চীনের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) ডং ফ্যাং হং-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

২৪ এপ্রিল ১৯৯০

পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে হাবল টেলিস্কোপ (এইচএসটি বা হাবল নামেও পরিচিত) উৎক্ষেপণ করা হয়।

২৪ এপ্রিল ২০১৫

অ্যাপলের তৈরি স্মার্টঘড়ি অ্যাপল ওয়াচ প্রথমবারের মতো বাজারে ছাড়া হয় এদিন। এটি ছিল অ্যাপল ওয়াচ সিরিজি-১।

২৪ এপ্রিল ১৯৪৫
কপি-পেস্টের উদ্ভাবক ল্যারি টেসলারের জন্ম
মার্কিন কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও কপি-পেস্ট পদ্ধতির উদ্ভাবক লরেন্স (ল্যারি) গর্ডন টেসলার এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মানুষ ও কম্পিউটারের মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করেছেন। টেসলার জেরক্স পার্ক, অ্যাপল, অ্যামাজন ও ইয়াহুতে কাজ করেছেন। জেরক্স পার্কে থাকার সময় প্রথম ডায়নামিক অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা স্মলটক এবং গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসসহ প্রথম ওয়ার্ড প্রসেসর জিপসি নিয়ে কাজ করেন টেসলার। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সালের এই সময়েই তিনি সহকর্মী টিম মটকে সঙ্গে নিয়ে কপি ও পেস্ট ধারণা নিয়ে আসেন এবং সফটওয়্যারে কপি ও পেস্টের সফল প্রয়োগ করতে সক্ষম হন। কাট-কপি-পেস্ট এখন শুধু কম্পিউটারের জনপ্রিয় সুবিধা নয়, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি প্রবাদতুল্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ল্যারি টেসলারের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হলো ‘আ ল্যাঙ্গুয়েজ ডিজাইন ফর কনকারেন্ট প্রসেসেস (১৯৬৮)। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ল্যারি টেসলার মারা যান।

চীনের ডং ফ্যাং হং-১ স্যাটেলাইট

২৪ এপ্রিল ১৯৭০
মহাকাশে চীনের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ
চীনের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) ডং ফ্যাং হং-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। চীনের ডং ফ্যাং হং স্পেস স্যাটেলাইট কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ করা হয়। এর ওজন ১৭৩ কেজি। অন্যান্য দেশের প্রথম স্যাটেলাইটের চেয়ে এটি ভারী ছিল। ডং ফ্যাং হং-১ স্যাটেলাইটে ছিল একটি বেতার প্রেরণযন্ত্র (রেডিও ট্রান্সমিটার)।

ডিসকভারি থেকে হাবল উৎক্ষেপণ করা হয়। ১৯৯০

২৪ এপ্রিল ১৯৯০
মহাকাশে হাবল টেলিস্কোপ
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে হাবল টেলিস্কোপ (এইচএসটি বা হাবল নামেও পরিচিত) উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি মহাকাশে পাঠানো প্রথম টেলিস্কোপ নয়, তবে এটি অন্যতম বৃহৎ ও বহুমুখী কাজের উপযোগী টেলিস্কোপ। জ্যোতির্বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য হাবল একটি কার্যকর যন্ত্র। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী এডউইন হাবলের নামে হাবল টেলিস্কোপের নামকরণ করা হয়। ১৯২৩ সালের শুরুতে মহাকাশ টেলিস্কোপ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯৭০-এর দশকে এটি নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ হয়। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির অনুদানে নাসা হাবল টেলিস্কোপ নির্মাণ করে। শুধু হাবল টেলিস্কোপই এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যে মহাকাশে নভোচারীরা এর রক্ষণাবেক্ষণ, হালনাগাদ ও কোনো যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে পারেন। ২০২০ সালে মহাকাশে হাবলের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে। নাসা আশা করছে, আগামী ২০৩০-২০৪০ পর্যন্ত হাবল কার্যক্ষম থাকবে।

অ্যাপল ওয়াচ

২৪ এপ্রিল ২০১৫
বাজারে এল অ্যাপল ওয়াচ
অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের তৈরি স্মার্টঘড়ি অ্যাপল ওয়াচ প্রথমবারের মতো বাজারে ছাড়া হয় এদিন। এটি ছিল অ্যাপল ওয়াচ সিরিজি-১। তারহীন যোগাযোগ, ফিটনেস ট্র্যাকিং, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা রয়েছে এই ঘড়িতে। আইফোনসহ অ্যাপলের অন্য পণ্যের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায় এই ঘড়ি। বাজারে ছাড়ার পর দ্রুতই সবচেয়ে বেশি বিক্রীত পরিধেয় যন্ত্রে পরিণত হয় হয় অ্যাপল ওয়াচ। ২০১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে ৪২ লাখ অ্যাপল ওয়াচ বিক্রি হয়েছে।
ঘড়ির খাপের উপকরণ, আকার, রং, বেল্ট ইত্যাদির ওপর অ্যাপল ওয়াচের বিভিন্ন মডেলের দাম নির্ভর করে। এখন পর্যন্ত অ্যাপল ওয়াচের সিরিজ-৯ বাজারে ছাড়া হয়েছে। এই ঘড়ির জন্য ওয়াচওএস নামে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে অ্যাপল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়াচওএস-১০ ছাড়া হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ কোটি ৭০ লাখ অ্যাপল ওয়াচ বিক্রি হয়েছে।