একসঙ্গে একাধিক যন্ত্রে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ঘরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অনেকেই। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হয় রাউটারের, যার মাধ্যমে আমরা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি টেলিভিশনে ইউটিউবসহ বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের ভিডিও দেখে থাকি। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে থাকা তথ্য নিরাপদ রাখতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করলেও রাউটারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সচেতন নন অনেকেই। এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা-বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, রাউটারের নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য চুরি হতে পারে।
রাউটারের নিরাপত্তাব্যবস্থা জানতে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রায় তিন হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর এক জরিপ চালিয়েছে ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান ‘ব্রডব্যান্ড জিনি’। জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রাউটারের প্রাইভেসি সেটিংস ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন না। শুধু তা-ই নয়, নিরাপত্তাব্যবস্থাও হালনাগাদও করেন না তাঁরা। ফলে রাউটারে সাইবার হামলার ঝুঁকি তৈরি হয়।
রাউটারে সাইবার হামলার ঝুঁকির বিষয়ে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা–গবেষক অলিভার ডিভানে বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষ তাঁদের ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কের নাম বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন না। ডিফল্ট সেটিংসের যেকোনো যন্ত্র বিপজ্জনক হতে পারে।’
গবেষকদের তথ্যমতে, হ্যাকাররা তথ্য চুরি করতে ফার্মওয়্যারের বাগ ও নেটওয়ার্কের দুর্বলতার সুযোগ নেয়। ফলে রাউটারের ফ্যাক্টরি সেটিংস ডিফল্ট করা থাকলে সহজেই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারে হ্যাকাররা। আর তাই রাউটার নিরাপদ রাখতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লগইনে কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করার পাশাপাশি ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কের নামও পরিবর্তন করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল