বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এ কারণেই বার্তা আদান-প্রদানের জন্য নিজেদের সুরক্ষিত মাধ্যম হিসেবে পরিচিত করতে কাজ করে যাচ্ছে অ্যাপটি। বেশ কিছু কারণে অ্যাকাউন্ট ব্যান করতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। কোনো অ্যাকাউন্টের অপব্যবহার শনাক্তে স্প্যাম শনাক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু আগস্ট মাসেই ভারতের ২০ লাখ ৩০ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এ জন্য নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনার কথা জানিয়েছে তারা।
হোয়াটসঅ্যাপে ফরওয়ার্ড করা সব বার্তা বা মেসেজের জন্য লেবেল রয়েছে। গ্রাহকেরা নির্দিষ্ট সংখ্যকবার মেসেজ ফরওয়ার্ড করার সুযোগ পান। তাই ফরওয়ার্ড করার আগে মেসেজটি ভালো করে পড়ুন। গুজব বা ভুল তথ্য ছড়াতে পারে এমন মেসেজ ফরওয়ার্ড করা থেকে বিরত থাকুন।
হোয়াটসঅ্যাপে বাল্ক মেসেজ পাঠালে অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। এ ছাড়া অটো মেসেজ বা ডায়াল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপটি। কারণ, মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে অটো মেসেজ বা ডায়াল শনাক্ত করে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের ব্রডকাস্ট সুবিধার মাধ্যমে একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট কন্টাক্ট (ফোন নম্বর) তালিকায় মেসেজ পাঠানো যায়। এ সুবিধা ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ হোয়াটসঅ্যাপের। বারবার বা সবকিছু নিয়ে ব্রডকাস্ট মেসেজ পাঠালে অন্যরা আপনার অ্যাকাউন্টকে স্প্যাম হিসেবে রিপোর্ট করতে পারে।
কাউকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করার আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। গ্রুপে যোগ করার পর কেউ যদি গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন, তবে তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে আর আলোচনা না করাই ভালো। সম্মতি ছাড়া কাউকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো থেকে বিরত থাকুন।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধু পরিচিতদের মেসেজ করুন। এতে আপনার অ্যাকাউন্টের ব্যান হওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকবে না।
অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে কিংবা ভুয়া তথ্য ছড়ালে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান করতে পারে। তাই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবহারের যে শর্ত ও নীতিমালা রয়েছে, সেগুলো মেনে চলুন।
ভুলবশত যদি আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যায়, তবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে মেইল করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাতে পারেন।