বিশ্বে জেনারেটিভ এআইয়ের (চ্যাটবট) জনপ্রিয়তার শুরু চ্যাটজিপিটি থেকে। অনেকে এখন গুগলের পরিবর্তে চ্যাটজিপিটি এবং বার্ডের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি বেছে নিচ্ছেন প্রশ্ন করার বা তথ্য খোঁজার জন্য। কিন্তু এআই প্রোগ্রাম থেকে পাওয়া তথ্য কতটা সঠিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের চ্যাটবট কো-পাইলটের (আগে বিং চ্যাট নাম ছিল) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, একাধিক দেশের নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে এটি।
কো-পাইলটের মতো এআইগুলো কতটা সঠিক, তা নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছে দুটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের বিষয়ে প্রতি তিনটি প্রশ্নের একটিতেই ভুল উত্তর দিয়ে বসে আছে চ্যাটবটগুলো। শুধু তা-ই নয়, কিছু বিষয়ে সম্পূর্ণ বানিয়ে উত্তর দিয়েছে মাইক্রোসফটের কো-পাইলট।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, জার্মানির রাজনীতিবিদ হুবার্ট আইওয়াঙ্গারকে নিয়ে অসত্য তথ্য ছড়ানো হয়েছে, তিনি নাকি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য লিফলেট বিতরণ করেছেন। এই তথ্যের কোনো সত্যতা নেই। তথ্যটি সম্পূর্ণ বানিয়ে বলেছে কো-পাইলট।
২০২৩ সালে হুবার্ট আইওয়াঙ্গারকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল যে তিনি প্রায় ৩০ বছর আগে জার্মানিতে অ্যান্টি-সেমেটিক লিফলেট বিতরণ করেছিলেন। হয়তো এই তথ্যকেই কোনোভাবে করোনাভাইরাসের ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে মাইক্রোসফটের এআই। এআই যখন এক তথ্যের সঙ্গে আরেক তথ্যকে মিলিয়ে ফেলে, তখন এই ঘটনাকে বলা হয় দৃষ্টিভ্রম বা হ্যালুসিনেশন।
এ ছাড়া গবেষণার সময় করা ৪০ শতাংশ প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে কো-পাইলট এবং অনেক ক্ষেত্রে ভুল শুধরে দেওয়ার পর আবারও ভুল উত্তর দিয়েছে। তাই কোনো দেশের নির্বাচনের বিষয়ে এআই থেকে তথ্য পেলে তা আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন গবেষকেরা।
সূত্র: ম্যাশেবল