কখনো কি ভেবেছেন কীভাবে ‘রিকমেন্ডেড পোস্ট’ আপনার ইনস্টাগ্রাম ফিডে দেখানো হয় কিংবা ইনস্টাগ্রাম টাইমলাইনে কীভাবে রিল আসে? বেশ কিছু বিষয় ও প্রোগ্রামিংয়ের অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে ফিড, স্টোরিজ ও রিল প্রদর্শনে ক্রমতালিকা বা র্যাঙ্কিং করে ইনস্টাগ্রাম। কীভাবে এ তালিকা করা হয়, এ বিষয়ে মেটার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি ব্যাখ্যা দিয়েছে।
এক ব্লগ পোস্টে ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির একক কোনো অ্যালগরিদম নেই, তবে এতে বিভিন্ন অ্যালগরিদম, ক্ল্যাসিফিয়ার ও প্রসেস ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি অ্যালগরিদমের নিজস্ব উদ্দেশ্যও রয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের প্রতিটি অংশ যেমন ফিড, স্টোরিজ, এক্সপ্লোরার, রিল, সার্চ ইত্যাদি ব্যবহারকারীরা কীভাবে ব্যবহার করেন, তার ওপর ভিত্তি করে অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়। স্টোরিজে সাধারণত ব্যবহারকারীর সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের খোঁজার প্রবণতা থাকে, এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন নতুন বিষয়বস্তু ও নির্মাতাদের খুঁজতে এবং রিল দেখেন আনন্দ পেতে। অ্যাপের এই বিভিন্ন অংশের ক্রমতালিকা আলাদাভাবে করা হয়। এ ছাড়া ব্যবহার অভিজ্ঞতা ব্যবহারকারীর পছন্দসই রাখতে ক্লোজ ফ্রেন্ড, ফেভারিট ও ফলোয়িং অপশন রাখা হয়েছে।
ব্যবহারকারী যাঁদের ফলো করেন, তাঁদের পোস্ট এবং কিছু রিকমেন্ডেড পোস্ট সাধারণত ফিডে দেখা যায়। রিকমেন্ডেড পোস্ট দেখানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে কেমন আধেয় পোস্ট করা হয়েছে, কে পোস্ট করেছেন ও ব্যবহারকারী কেমন আধেয় (কনটেন্ট) দেখতে আগ্রহী। ব্যবহারকারীর আগ্রহ বিশ্লেষণ করতে তাঁদের লাইক, শেয়ার, সেভড ও কমেন্ট বিবেচনা করা হয়।
ফিডের মতো স্টোরিজেও যাঁদের ফলো করা হয়, তাঁদের আধেয় দেখেন ব্যবহারকারীরা। এর বাইরে স্টোরিজে বিজ্ঞাপন দেখা যায়। স্টোরিজের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর ভিউ হিস্ট্রি, এনগেজমেন্ট হিস্ট্রি বিবেচনায় নেওয়া হয়।
রিলসে যেসব অ্যাকাউন্টের আধেয় প্রদর্শন করা হয়, তার অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন না। ব্যবহারকারী যেসব আধেয় পছন্দ করতে পারেন, সেসব আধেয় রিলসে প্রদর্শিত হয়। এর জন্য ব্যবহারকারীর ওপর জরিপও চালানো হয়। এ ছাড়া ব্যবহারকারী রিলসে যে ধরনের আধেয় বেশি দেখেন, সেগুলোও বিবেচনায় নেওয়া হয়।