স্মার্টফোনে সাইবার হামলা ঠেকাতে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
স্মার্টফোনে সাইবার হামলা ঠেকাতে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে

স্মার্টফোন মাঝেমধ্যে বন্ধ রাখলে কি সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ থাকা যায়

স্মার্টফোনে থাকা তথ্য চুরির জন্য নিয়মিত সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা। কয়েক বছর ধরে এ ধরনের হামলার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ম্যালওয়্যারসহ বিভিন্ন ধরনের স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে স্মার্টফোনে সাইবার হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। তাই সাইবার হামলা থেকে স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে সপ্তাহে অন্তত একবার কিছু সময়ের জন্য স্মার্টফোন বন্ধ করে চালু করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির ‘মোবাইল ডিভাইস বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করার জন্য স্পেয়ারফিশিং আক্রমণও করছে হ্যাকাররা। এ ধরনের আক্রমণে কোনো ধরনের ক্লিক ছাড়াই ক্ষতিকর অ্যাপ বা ম্যালওয়্যার স্মার্টফোনে প্রবেশ করতে পারে। সপ্তাহে অন্তত একবার কিছু সময়ের জন্য স্মার্টফোন বন্ধ রাখলে এ ধরনের আক্রমণ চালানো হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এ পদ্ধতি সব সময় সাইবার হামলা ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা না–ও রাখতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। তাই স্মার্টফোনে সাইবার হামলা ঠেকাতে ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা। পরামর্শগুলো দেখে নেওয়া যাক।

* স্মার্টফোনে থাকা সব অ্যাপ নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। এ ছাড়া অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ নিরাপত্তা প্যাঁচ ব্যবহার করতে হবে।

* গুগল প্লে বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের পাশাপাশি অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ নামিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

* অনলাইনে পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো কোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি খুদে বার্তায় বা ফাইলে থাকা লিংকে ক্লিক করা এড়িয়ে চলতে হবে।

* পাবলিক ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন হলে পাবলিক ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্ক ভিপিএনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে হবে।

* প্রয়োজন শেষে ব্লু-টুথ সংযোগ নিষ্ক্রিয় করে রাখতে হবে।

* স্মার্টফোনে অবশ্যই নিরাপদ পাসকোড বা পিন ব্যবহার করতে হবে। ফোন লক ও আনলক করতে কমপক্ষে ছয় সংখ্যার একটি শক্তিশালী পাসকোড ব্যবহার করতে হবে।

* বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন যেন অন্য কেউ ব্যবহার করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

* অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চার্জিং পোর্টের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

* প্রয়োজন না থাকলে স্মার্টফোনের লোকেশন সুবিধা সব সময় বন্ধ রাখতে হবে।

সূত্র: জেডি নেট