ব্রাউজার ও সফটওয়্যার হালনাগাদের প্রলোভনে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ‘ওয়ার্মকুকি’ ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাচ্ছে একদল হ্যাকার। ব্রাউজার ও সফটওয়্যার হালনাগাদের জন্য ভুয়া ওয়েবসাইট চালু করে ছড়ানো হচ্ছে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারটি। ম্যালওয়্যার ছড়ানোর এ ঘটনা শনাক্ত করেছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান জেন থ্রেট ল্যাবের একদল গবেষক।
জেন থ্রেট ল্যাবের তথ্যমতে, ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়ানোর জন্য সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকড করার পাশাপাশি নতুন ওয়েবসাইট খুলে থাকে হ্যাকাররা। এরপর নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ব্রাউজার ও সফটওয়্যার হালনাগাদের জন্য বার্তা পাঠানো হয়। হ্যাকারদের তৈরি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ব্রাউজার ও সফটওয়্যার হালনাগাদের জন্য আপডেট বাটনে ক্লিক করলেই স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ওয়ার্মকুকি ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে।
ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারটি স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে প্রবেশের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির পাশাপাশি অরবিটারি কোড যুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পর্দার স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠাতে থাকে। বিভিন্ন ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা চুরি করার পাশাপাশি স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারে ম্যালওয়্যারটি। আর তাই ম্যালওয়্যারটির মাধ্যমে র্যানসমওয়্যার হামলা চালানো যায়।
ওয়ার্মকুকি ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির পাশাপাশি বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ম্যালওয়্যারটি থেকে নিরাপদ থাকতে অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো বার্তার সঙ্গে থাকা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার