প্রযুক্তি দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) তুমুল জনপ্রিয় এই চ্যাটবট দিয়ে নিবন্ধ বা কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন আধেয় তৈরি করছেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি আধেয়গুলোর মেধাস্বত্ব করা যাবে কী না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি আধেয় মেধাস্বত্ব করার সুযোগ দিতে সম্প্রতি নতুন নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেধাস্বত্ব কার্যালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি প্রতিটি আধেয়-এর বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করেই শুধু মেধাস্বত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি কোনো আধেয় মেধাস্বত্ব পাবে না। তবে লেখকের কল্পনা, সৃজনশীলতা বা নির্দেশনা অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির লেখা আধেয় মেধাস্বত্বের জন্য বিবেচনা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেধাস্বত্ব কার্যালয়ের পরিচালক শিরা পার্লমুটার জানিয়েছেন,আধেয় তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহারপদ্ধতি পর্যালোচনা করে মেধাস্বত্বের আবেদন বিবেচনা করা হবে। চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে কেউ চাইলেই উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের মতো কবিতা বা কোনো বিখ্যাত গীতকারের গান লেখার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ধরনের কোনো আধেয় মেধাস্বত্ব পাবে না। কারণ, আধেয়তে লেখকের কোনো সৃজনশীলতা নেই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে লেখা নিবন্ধ বা কবিতার শব্দচয়ন ও ভাষা মানুষের মতোই হয়ে থাকে। ফলে সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। আর তাই মেধাস্বত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি কীভাবে যাচাই করা হবে, সে বিষয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি অজানা নয় যুক্তরাষ্ট্রের মেধাস্বত্ব কার্যালয়ের। আর তাই সংস্থাটি জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির নতুন বাস্তবতা এবং মেধাস্বত্বের আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হবে।
সূত্র: ম্যাশেবল