অপ্রাপ্তবয়স্কদের স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাত্রা ও প্রবণতা নিয়ে করা একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে পিউ রিসার্চ সেন্টার। গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৪০ শতাংশের বেশি কিশোর–কিশোরী বলেছে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় কমিয়ে দেওয়া শুরু করেছে। এই কিশোর–কিশোরীরা এ–ও বলছে যে প্রয়োজনের তুলনায় তারা বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্মার্টফোনে কাটায়। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের হার ৩৮ শতাংশ এবং অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের হার ২৭ শতাংশ।
নতুন এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে কিশোর–কিশোরীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল বিবেক মুর্থি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম সীমা ১৩ বছর বয়স থেকে বাড়ানো উচিত। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে ১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অনুপযোগী করে নতুন নিয়ম চালুর চেষ্টা করা হয়েছে। অবশ্য নতুন এসব নিয়ম সেসব অঙ্গরাজ্যে বাধার মুখে পড়ে।
গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব কিশোর–কিশোরী স্মার্টফোন ব্যবহার করে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অল্প বয়সীরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে না। এই হার মাত্র ৫ শতাংশ। আবার গত ডিসেম্বরে পিউ রিসার্চের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি তিনজনের একজন কিশোর–কিশোরী ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রায় সব সময় ব্যবহার করে। পিউ রিসার্চের গবেষণায় দেখা গেছে, কিশোরদের তুলনায় কিশোরীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশি ব্যবহার করে। কিশোরীদের ক্ষেত্রে এ হার ৪৪ শতাংশ এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ। গবেষণায় দেখা যায়, ৫১ শতাংশ কিশোর–কিশোরী স্মার্টফোনে যথাযথভাবে সময় কাটায় বলে তারা মনে করে।
গবেষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ হাজার ৪৫৩ জনের ওপর গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে সমীক্ষা চালানো হয়। স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরতি নেওয়ার সময় তাদের কেমন অনুভূতি হয়, এমন প্রশ্নে ৭২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানায় পর্দা থেকে দূরে থাকলে তারা অধিকাংশ সময় ভালো বোধ করে। অপর দিকে ৪৪ শতাংশ জানায়, তারা স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকলে উদ্বিগ্ন থাকে।
সূত্র: সিএনএন