নিজেদের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলন ‘গুগল আইও ২০২৩’তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক নানা পণ্য ও সেবা আনার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। গুগল সার্চেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যুক্তের ইঙ্গিত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল সার্চে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যুক্ত হলে সার্চ বারে ব্যবহারকারীরা কোনো প্রশ্ন লিখলেই তা বিস্তারিতভাবে তুলেও ধরবে গুগল; অর্থাৎ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল দেখার পর একাধিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে না। ফলে নতুন এ সুবিধা চালু হলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে গুগলের কাছ থেকে পাওয়া ট্রাফিক কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, যেসব ওয়েবসাইট পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয় করে থাকে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বর্তমানে গুগল সার্চে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্তের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে গুগল। সার্চ জেনারেটিভ এক্সপেরিয়েন্স নামের এ সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীরা গুগলের সার্চ ফলাফলের শুরুতেই প্রশ্নের বিস্তারিত ফলাফল স্ন্যাপশট বা ছবি আকারে দেখতে পারবেন। ফলে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিস্তারিত তথ্য জানার প্রয়োজন হবে না। তবে গুগল জানিয়েছে, সার্চ জেনারেটিভ এক্সপেরিয়েন্স সুবিধা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।
গুগলের নতুন এই সার্চ পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জেফ্রি ফাওলার। তিনি জানান, গুগলের সার্চ জেনারেটিভ এক্সপেরিয়েন্স প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তথ্যের সমর্থনে বেশ কিছু লিংক ওপরের বাঁ দিকে প্রদর্শন করে। চাইলেই ওপরের ডান দিকের আইকনে ক্লিক করে লিংকগুলোতে থাকা প্রয়োজনীয় তথ্য বিস্তারিত দেখা যায়; অর্থাৎ কোনো পণ্যের বিষয়ে সার্চ করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিজেই পণ্যের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেখাতে পারে। এমনকি কোথায় পাওয়া যাবে, তা-ও প্রদর্শন করে। ফলে অন্য ওয়েবসাইটে পণ্য কেনার জন্য ঢুঁ মারতে হবে না। দ্রুত তথ্য জানার সুযোগ মিললেও এ পদ্ধতি অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা সংবাদমাধ্যমের জন্য ভালো সংবাদ নয়।
নতুন এ সুবিধা চালুর পাশাপাশি ‘পার্সপেক্টিভ’ সার্চ ফিল্টারের কাজের পরিধিও বড় করছে গুগল। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মার্কিন কমিউনিটি ফোরাম হিসেবে পরিচিত রেডিট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্ট, বিভিন্ন ব্লগসহ ইউটিউবের ভিডিওর তথ্যও সার্চ ফলাফলে দেখাবে গুগল; অর্থাৎ শুধু ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যের ওপর ভরসা করতে হবে না ব্যবহারকারীদের।
সূত্র: নিমেনল্যাব ডটঅর্গ