মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেন এআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে পাল্লা দিতে গত মার্চে বার্ড (বিএআরডি) নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট উন্মুক্ত করে গুগল। গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপ্রযুক্তি এলএএমডিএ (ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ফর ডায়ালগ অ্যাপ্লিকেশনস) কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে বার্ড নামের চ্যাটবটটি। ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে দিতে সক্ষম বার্ডের ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন গুগলের যুক্তরাজ্য কার্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেবি ওয়েনস্টিন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বার্ডের দেওয়া যেকোনো উত্তর বা কনটেন্ট ব্যবহারের আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
বার্ডের কাজের ধরন উল্লেখ করে ওয়েনস্টিন জানান, যেকোনো সমস্যার সমাধান বা নতুন কোনো ধারণা পেতে বার্ড উপযুক্ত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপ্রযুক্তির এই চ্যাটবটকে ‘পরীক্ষামূলক’ পর্যায় থেকে কিছুটা উন্নত পর্যায়ের হিসেবে বিবেচনায় করা উচিত। বার্ডের দেওয়া তথ্য যাচাই করার পর ব্যবহারকারীদের মতামত জানানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ওয়েনস্টিনের বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট, অনলাইনে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার উৎস হিসেবে এই চ্যাটবটকে উপস্থাপন করতে চায় না গুগল। আর তাই বার্ডে দেওয়া ফলাফল বিষয়ে ‘পছন্দ করা’ (থাম্বস আপ) বা ‘অপছন্দ করা’ (থাম্বস ডাউন) এই দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সুযোগ যুক্ত করেছে গুগল। ব্যবহারকারীদের মতামত কাজে লাগিয়ে বার্ডকে আরও উন্নত করতেই এ উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই চ্যাটবট বিভিন্ন সময়ে ভুল ফলাফল দিয়ে থাকে। এ কারণে চ্যাটবটের ফলাফল ব্যবহার করে সমস্যায় পড়েন অনেকই। আর তাই ব্যবহারকারীদের জন্য বার্ডের হোমপেজে সতর্কবার্তা যুক্ত করেছে গুগল। সতর্কবার্তায় বলা রয়েছে, ‘টুলটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সব সময় সঠিক তথ্য না দেওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।’
সূত্র: টেকরাডার