সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আত্মহত্যা–সম্পর্কিত ক্ষতিকর আধেয় বা কনটেন্টের বিস্তার নিরুৎসাহিত করতে একটি প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়েছে মেটা, স্ন্যাপ ও টিকটক। থ্রাইভ নামের এই প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মেন্টাল হেলথ কোয়ালিশন (এমএইচসি)। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে থ্রাইভের যাত্রা শুরু হয়েছে। থ্রাইভের সহায়তায় মেটা, স্ন্যাপ ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যৌথভাবে আত্মহত্যা–সম্পর্কিত ক্ষতিকর আধেয় শনাক্ত করে তার বিস্তার নিরুৎসাহিত করবে।
নির্দিষ্ট কিছু সংকেত মেনে সুনির্দিষ্ট কিছু শব্দ থাকলে সেসব আধেয় সম্পর্কে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম একে অপরকে অবহিত করবে। ফলে খুব দ্রুত এসব আধেয় শনাক্ত করার পাশাপাশি এর বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। ক্ষতিকর এসব আধেয় শনাক্ত হওয়ার পর মেটা, স্ন্যাপ ও টিকটক খুব সহজে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সেগুলো সরিয়ে নিতে পারবে এবং ব্লক করতে পারবে। এ ধরনের আধেয় শনাক্তের জন্য থ্রাইভে হ্যাশ (#) কৌশল ব্যবহার করবে প্ল্যাটফর্মগুলো। ফলে আধেয় শেয়ার না করেও সেগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে। থ্রাইভে হ্যাশের মাধ্যমে ক্ষতিকর আধেয় সম্পর্কে অবহিত করলে শুধু আধেয়ই শনাক্ত করা যাবে। যে অ্যাকাউন্ট থেকে এই আধেয় ছড়িয়ে দেওয় হয়েছে, তা দেখা যাবে না। থ্রাইভের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে মেটা।
মেটা, স্ন্যাপ ও টিকটক থ্রাইভ নামের এ উদ্যোগে যুক্ত হলেও এখনো ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এতে যোগ দেয়নি। এর আগে যুক্তরাজ্যের ১৪ বছর বয়সী কিশোরী মলি রাসেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা ক্ষতিকর আধেয়র কারণে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এর জন্য ইনস্টাগ্রামে থাকা আধেয়কে দায়ী করা হয়। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে হুঁশিয়ারি বার্তা দেয় দেশটির সরকার।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস