বিটকয়েনের উদ্ভাবক সাতোশি নাকামোতোর ভাস্কর্য
বিটকয়েনের উদ্ভাবক সাতোশি নাকামোতোর ভাস্কর্য

বিটকয়েনের উদ্ভাবকের ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো সুইজারল্যান্ডে

ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিটকয়েনের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর তাই কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশ্বজুড়ে চলছে বিটকয়েন নিয়ে তুমুল মাতামাতি। জনপ্রিয় ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিটকয়েনের উদ্ভাবক সাতোশি নাকামোতো। এটি মূলত বিটকয়েনের উদ্ভাবকের ছদ্মনাম। বিটকয়েনের উদ্ভাবকের আসল পরিচয় এখনো জানা না গেলেও সাতোশি নাকামোতোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুইজারল্যান্ডের লুগানো শহরে একটি ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়েছে। সম্প্রতি লুগানো শহরের মেয়র মিশেল ফোলেটি সাতোশি নাকামোতোর ভাস্কর্য উন্মোচন করেন। এ সময় ভাস্কর্যটিকে লুগানো শহরের ডিজিটাল অগ্রগতির সাহসী আলিঙ্গনের প্রতীক হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি।

ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ভাবনের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে লুগানো শহরের উত্থানকে তুলে ধরতেই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে ব্যক্তি সাতোশি নাকামোতোকে সম্মানিত করার পাশাপাশি বিটকয়েনের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাতোশি নাকামোতোর মতোই ভাস্কর্যটিতে বেশ রহস্যময় ভাব রয়েছে। এ বিষয়ে ভাস্কর্যটির নির্মাতা সাতোশি গ্যালারি বলেন, ‘ভাস্কর্যে দেখা যাচ্ছে, সাতোশি একটি ল্যাপটপের সামনে বসে আছেন। একটু সামনে গেলেই ভাস্কর্য অদৃশ্য হয়ে যায় আর কয়েকটি কোড দেখা যায়।’

বিটকয়েন

সাতোশি নাকামোতো ২০০৮ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। ‘বিটকয়েন: আ পিয়ার টু পিয়ার ইলেকট্রনিক ক্যাশ সিস্টেম’ নামের সেই প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করেই ২০০৯ সালে বিটকয়েন সফটওয়্যার প্রকাশ করেন তিনি।

সূত্র: বিটকয়েন ডটকম