উইন্ডোজ ১০ ও উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে দুটি ভয়ংকর ত্রুটির সন্ধান পাওয়া গেছে। ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা চাইলে দূর থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে যেকোনো সময় সাইবার হামলার কবলে পড়তে পারেন উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা।
উইন্ডোজ ১০ ও উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে থাকা ত্রুটিগুলোর সন্ধান পেয়েছে ভারতের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি-ইন)। সংস্থাটির তথ্যমতে, ভার্চ্যুয়ালাইজেশনভিত্তিক সুরক্ষা ভিবিএস এবং উইন্ডোজ সিস্টেমে ত্রুটিগুলো পাওয়া গেছে। সাইবার অপরাধীরা ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়ে ভিবিএস সুরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ভিবিএসের নিরাপত্তাবলয় এড়িয়ে পুরো সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারে তারা। সমস্যা সমাধানে উইন্ডোজের হালনাগাদ নিরাপত্তা প্যাচ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের যেসব সংস্করণে ত্রুটি রয়েছে সেগুলো হলো, উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ১৬০৭ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ১৬০৭ ৩২-বিট সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ ৩২-বিট সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ২২এইচ২ ৩২-বিট সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ২২এইচ২ এআরএম ৬৪-বেসড সিস্টেমস,
উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ২১এইচ২ ৩২-বিট সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ১৮০৯ এআরএম ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ১৮০৯ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ১৮০৯ ফর ৩২-বিট সিস্টেমস ও উইন্ডোজ ১০ ভার্সন ২১এইচ২ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস।
উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমের যেসব সংস্করণে ত্রুটি রয়েছে সেগুলো হলো, উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২৪এইচ২ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২৪এইচ২ এআরএম ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২৩এইচ২ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২৩এইচ২ এআরএম ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২২এইচ২ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২২এইচ২ এআরএম ৬৪-বেসড সিস্টেমস, উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২১এইচ২ এআরএম ৬৪-বেসড সিস্টেমস ও উইন্ডোজ ১১ ভার্সন ২১এইচ২ এক্স ৬৪-বেসড সিস্টেমস।
সূত্র: লাইভমিন্ট ডটকম