ব্যবহারকারীদের আগ্রহ ও চাহিদা বুঝে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন প্রচার করে মেটা। এ জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশু-কিশোর ব্যবহারকারীদের অবস্থানসহ ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস নিয়মিত সংগ্রহ করে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তা–ই নয়, এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে শিশু-কিশোরদের দীর্ঘ সময় সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ব্যবহারে আসক্তও করছে। এসব কাজ করা থেকে বিরত রাখতে গত অক্টোবর মাসে মেটার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মেটা পরিকল্পিতভাবেই শিশু-কিশোরদের তথ্য সংগ্রহ করছে। বিশেষ করে শিশুরা ইনস্টাগ্রামে কোন বিষয়ের আধেয় বা কনটেন্ট বেশি দেখে, যুক্ত থাকা গ্রুপের পরিচিত বা কোন ধরনের বার্তা আদান-প্রদান করে সব তথ্যই সংগ্রহ করে মেটা। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে কিশোর-কিশোরীদের সামনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও আধেয় প্রদর্শন করা হয়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের শিশু-কিশোরদের জন্য তৈরি অনলাইন নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, অভিভাবকদের সম্মতি ছাড়া শিশু-কিশোরদের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, মেটা নিজেদের তৈরি বিভিন্ন অ্যাপের অ্যালগরিদম এমনভাবে সাজিয়েছে যেন শিশু-কিশোরেরা নিজেদের পছন্দের আধেয়গুলোই শুধু দেখতে পারে। এর ফলে নিজেদের অজান্তে দীর্ঘসময় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করায় ধীরে ধীরে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে আসক্ত হয়ে যায় শিশু-কিশোরেরা। শুধু তা–ই নয়, লাখ লাখ অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না মেটা।
মেটা জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে ১৩ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমোদন দেওয়া হয় না। কেউ ভুল তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে পরবর্তী সময়ে তা যাচাই করা কঠিন। তবে যাচাইয়ের পর মিথ্যে তথ্য দেওয়া সব অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ইয়াহু ফিন্যান্স