স্মার্টফোনের পাশাপাশি স্মার্ট ঘড়ি, ইয়ারবাডস, স্পিকার প্রভৃতি তারহীন যন্ত্র একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ব্লুটুথ ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে নিরাপত্তাত্রুটি শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা। প্রায় এক দশক সময় ধরে ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে এই নিরাপত্তাত্রুটি রয়েছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণার তথ্যমতে, ৪ দশমিক ২ থেকে ৫ দশমিক ৪ সংস্করণের ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে নিরাপত্তাত্রুটি পাওয়া গেছে। এ ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ব্লুটথ চালু থাকা যন্ত্রের সিগন্যাল কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রে প্রবেশ করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা। এমনকি অ্যাপলের তারহীন ফাইল বিনিময়ের টুল এয়ারড্রপেও এই ত্রুটি পাওয়া গেছে। ২০১৪ সাল থেকে, অর্থাৎ প্রায় এক দশক সময় ধরে এ ত্রুটি অজানা ছিল। ফলে এ ত্রুটির কারণে সাইবার হামলার কবলে পড়া ব্যবহারকারীদের তথ্য জানা যায়নি।
ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে পেয়ার সংযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে তথ্য স্থানান্তর করা হয়ে থাকে। এ জন্য উভয় যন্ত্রে একই কোড যাচাই করা হয়। ব্লুটুথের এই পেয়ার সংযোগ পদ্ধতিতেই নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান মিলেছে। আর তাই হ্যাকাররা চাইলেই ব্লুটুথ চালু থাকা অবস্থায় পেয়ার সংযোগের কোড এড়িয়ে যেকোনো যন্ত্রে প্রবেশ করে তথ্য চুরি করতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে থাকা এ নিরাপত্তাত্রুটির সমাধান এখনো উন্মুক্ত হয়নি। এর ফলে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি যন্ত্র সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। সাইবার হামলা থেকে নিরাপদে থাকার জন্য যন্ত্রে ব্লুটুথ সংযোগ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া ব্লুটুথ চালু না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: নিউজ১৮