আগামী বছরই আইফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটবটের সুবিধা যোগ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কথা জানিয়েছেন অ্যাপল কম্পিউটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তবে অ্যাপল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জেনারেটিভ সফটওয়্যার চালু করলেও তাতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং ব্যবহারে দায়িত্বশীলতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী এ সভায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নীতি এবং অবস্থান সম্পর্কেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরেই অ্যাপল জেনারেটিভ এআই নিয়ে কাজ করছে এবং বিনিয়োগও করে আসছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক এড়াতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ জোর দেবে। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন এআই চ্যাটবটকে প্রশিক্ষণ দিতে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহৃত হয়। ফলে তথ্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে।
সম্প্রতি অ্যামাজনও জেনারেটিভ এআই চালুর ঘোষণা দিয়েছে। গুগলের পিক্সেল ৮ ফোনে এ ধরনের সুবিধা ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে স্যামসাংয়ের। চ্যাটজিপিটির মতো মাইক্রোসফটের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সফটওয়্যার বা টুল মাইক্রোসফট ৩৬৫ কোপাইলটও চালু হয়েছে। তাই অ্যাপলের এই জেনারেটিভ এআই টুল চালু নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ এখন প্রযুক্তি দুনিয়ায়।
অবশ্য অ্যাপলে অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবহারের জন্য অ্যাপল জিপিটি নামের একটি এআই চ্যাটবট টুল চালু রয়েছে। ‘অ্যাজ্যাক্স’ নামের নিজস্ব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল দিয়ে এই চ্যাটবট তৈরি করেছে অ্যাপল। অ্যাপল জিপিটি গুগল বার্ড, বিং এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতোই বিভিন্ন লেখার সারাংশ তৈরি করা এবং প্রশ্ন ও তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর দিতে পারে।
এর আগে অ্যাপল বিশ্লেষক জেফ পু অনুমান করে বলেছিলেন, আগামী বছর আইওএস ১৮ আসবে। আর এর সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবটসহ নতুন কিছু সুবিধা যুক্ত হতে পারে।