গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নোট নেওয়ার অ্যাপ্লিকেশন নোটবুকএলএম এখন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে ব্যবহারকারীর বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা এর বেশি। গুগলের নতুন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল জিমিনি প্রো এই অ্যাপে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে যেকোনো নথি আরও সহজে বোধগম্য হবে।
নোটবুকএলএমে যেকোনো ডকুমেন্ট আপলোড করার পর অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সারাংশ তৈরি করে। এমনকি নথি বা ডকুমেন্টের নির্ভর করে বিভিন্ন প্রশ্ন ও তার উত্তরও তৈরি করে। এআই চ্যাটবটের সঙ্গে এই অ্যাপের পার্থক্য হলো, নোটবুকএলএম শুধু নথি বিশ্লেষণ করে এবং এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন আঙ্গিকের তথ্য উপস্থাপন করে। সারাংশ দেখানো ছাড়াও নোটবুকএলএম অ্যাপে একসঙ্গে অনেক ডকুমেন্ট আপলোড করা হলে ই-মেইল লেখা, স্ক্রিপ্ট লেখা, বিপণন পরিকল্পনার খসড়ার মতো বিভিন্ন ধরনের লেখার ফরম্যাট সুপারিশ করে। কাঙ্ক্ষিত যেকোনো ফরম্যাট নির্বাচন করলে সে অনুযায়ী ডকুমেন্টের লেখাকে উপস্থাপন করে।
এ ছাড়া ডকুমেন্ট পড়া বা লেখার সময় তাৎক্ষণিক বিভিন্ন কাজে সহায়তা করবে এই অ্যাপ। যেমন ডকুমেন্ট পড়ার সময় নির্দিষ্ট অংশ নির্বাচন করলে তার সারাংশ প্রদর্শন করবে। আবার ডকুমেন্ট লেখার অ্যাপটি এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে এবং বাক্যগঠনে সহায়তা করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কথা টুকে রাখার জন্য নোটবোর্ড নামের একটি অংশও রয়েছে অ্যাপে। নোটবুকে ২ লাখ শব্দের সর্বোচ্চ ২০টি উৎস অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
চলতি বছরের মে মাসে আই/ও সম্মেলনে নোটবুকএলএম আনে গুগল। তখন এর নাম ছিল প্রজেক্ট টেইলউইন্ড। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীরা সুবিধাটি পরখ করার সুযোগ পান।
সূত্র: দ্য ভার্জ