ম্যালওয়্যারযুক্ত কি–বোর্ড অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সব বার্তা, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করছে সাইবার অপরাধীরা
ম্যালওয়্যারযুক্ত কি–বোর্ড অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সব বার্তা, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করছে সাইবার অপরাধীরা

কি-বোর্ড অ্যাপের মাধ্যমে পাসওয়ার্ডসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে অপরাধীরা

কি–বোর্ড অ্যাপের মাধ্যমে আইফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ডসহ বিভিন্ন তথ্য এবং অনলাইন কার্যক্রমের ইতিহাস সংগ্রহ করছে সাইবার অপরাধীরা। আইফোনের ডিফল্ট কি–বোর্ড অ্যাপ এবং ম্যালওয়্যারযুক্ত কি–বোর্ড অ্যাপগুলো দেখতে প্রায় একই রকম হওয়ায় পার্থক্য সহজে শনাক্ত করা যায় না। এর ফলে ব্যবহারকারীরাও নিশ্চিন্তে ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সার্টো সফটওয়্যার।

এক প্রতিবেদনে সার্টো সফটওয়্যার জানিয়েছে, অ্যাপ স্টোরে নতুন অ্যাপ যুক্ত করার আগে অ্যাপগুলোর নিরাপত্তা যাচাই করে থাকে অ্যাপল। এর পাশাপাশি নিজেদের ‘টেস্টফ্লাইট’ অপশনের মাধ্যমে নির্মাতাদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার ব্যক্তির ওপর অ্যাপটির কার্যকারিতা পরখ করার সুযোগ করে দেয়। এরপর ব্যবহারকারীদের মতামত পর্যালোচনা করে অ্যাপ স্টোরে যুক্ত করা হয় অ্যাপটি। সাইবার অপরাধীরা অ্যাপলের এই ‘টেস্টফ্লাইট’ অপশন কাজে লাগিয়েই মূলত কি–বোর্ড অ্যাপের মাধ্যমে আইফোনে ‘স্টকারওয়্যার’ নামের ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে তথ্য চুরি করছে।

সার্টো সফটওয়্যারের তথ্যমতে, কি–বোর্ড অ্যাপগুলো পরীক্ষা করার জন্য নামালেই আইফোনে স্টকারওয়্যার ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা আইফোনের কি–বোর্ডে কোনো কিছু লিখলেই সেগুলোর তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে ম্যালওয়্যারটি। এভাবে সাইবার অপরাধীরা দূর থেকেই নির্দিষ্ট আইফোন ব্যবহারকারীর লেখা সব বার্তা, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড, ওটিপি কোড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যসহ অনলাইন কার্যক্রমের ইতিহাস সংগ্রহ করে বিভিন্ন অপরাধ করে থাকে।

এ ধরনের সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য অপরিচিত প্রতিষ্ঠানের তৈরি কি–বোর্ড অ্যাপ আইফোনে থাকলে তা দ্রুত মুছে ফেলতে বলেছেন নিরাপত্তা–বিশ্লেষকেরা। এর পাশাপাশি কোনো অ্যাপ নামিয়ে পরীক্ষা করার আগে সতর্কতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
সূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০