খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইট টুইটারের আদলে তৈরি মেটার থ্রেডস অ্যাপ প্রকাশের পরপরই প্রযুক্তি বিশ্বে বেশ আলোড়ন তুলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই কয়েক কোটি ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন অ্যাপটিতে। কিন্তু থ্রেডস অ্যাপের ওয়েবসাইট সন্ধান করার সময় বিভ্রান্তিতে পড়ছেন অনেকেই। অনলাইনে থ্রেডসের ওয়েবসাইটের তথ্য খুঁজতে গেলেই থ্রেডস নামের অন্য একটি ওয়েবসাইট দেখা যাচ্ছে। কারণ আর কিছুই নয়, মেটার থ্রেডস উন্মুক্তের আগেই আরেক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান থ্রেডস ডটকম ডোমেইন ব্যবহার করায় এ বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। সেই প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী রুশোর সাবেক কর্মস্থল মেটা হওয়ায় ওয়েবসাইটটি দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাজী রুশো ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটায় কাজ করেছেন।
সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের ওয়েবসাইটে ডটকম ডোমেইন ব্যবহার করে। বিশ্বে ডটকমের সংখ্যা এবং এই ডোমেইনের চাহিদা বেশি। কিন্তু মেটার থ্রেডস অ্যাপের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়েছে ডটনেট ডোমেইন। মেটার আলোচিত থ্রেডসের ওয়েব ঠিকানা তাই থ্রেডস ডটনেট। কারণ মেটার থ্রেডস উন্মুক্তের আগে থেকেই থ্রেডস প্রতিষ্ঠানটি ডটকম ডোমেইন ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটি মূলত কর্মক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার স্ল্যাকের আদলে সেবা পরিচালনা করে থাকে। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৫ লাখ ডলারের বিনিয়োগও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটার থ্রেডসের সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম মিলে যাওয়ায় নিজেদের টুইটার প্রোফাইলে একটি বার্তা যুক্ত করেছে থ্রেডস ডটকম কর্তৃপক্ষ। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘থ্রেডস হলো স্ল্যাকের বিকল্প। মেটার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
এ বিষয়ে থ্রেডসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী রুশো জানিয়েছেন, থ্রেডস খুবই শক্তিশালী একটি শব্দ এবং ইন্টারনেটের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। আর তাই মেটাও নিজেদের উপস্থাপন করতে এই শক্তিশালী শব্দকে বেছে নিয়েছে।
নামে মিল থাকায় এরই মধ্যে থ্রেডস ডটকম ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ডটকম ডোমেইন দিয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে অভ্যস্ত হওয়ায় ভবিষ্যতেও থ্রেডস ডটকম ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সহজেই প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সুবিধা অন্যরা জানতে পারবেন।
সূত্র: ফাস্ট কোম্পানি