জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

প্রযুক্তির এই দিনে: ৩ জুলাই

আজ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জন্মদিন

১৯৭১ সালে অস্ট্রেলিয়ার টাউনসভিলে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জন্মগ্রহণ করেন। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে।

৩ জুলাই ১৯৭১
আজ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জন্মদিন
পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ সব গোপন নথি তথ্য মানুষের সামনে এনে দুনিয়াকে যেন চমকে দিয়েছিল উইকিলিকস। উইকিলিকসের পাশাপাশি এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সম্পাদক, অ্যাকটিভিস্ট, রাজনৈতিক টকশোর সঞ্চালক, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, হ্যাকার ও সাংবাদিক জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জের আজ জন্মদিন। ১৯৭১ সালে অস্ট্রেলিয়ার টাউনসভিলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে। ১৯৯৭ সালে অ্যাসাঞ্জ দি রাবারহোস ডেনায়েবল এনক্রিপশন সিস্টেম উদ্ভাবন করেন। পাশাপাশি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি সফটওয়্যার প্যাকেজও তৈরি করেন। এর আগে ১৯৯৫ সালে তিনি প্রথম উন্মুক্ত উৎসের (ওপেন সোর্স) ও বিনা মূল্যের প্রোগ্রাম পোর্ট স্ক্যানার লেখেন। এরও আগে ১৯৯৩ সালে অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান সাবারবিয়া পাবলিক অ্যাকসেসে নেটওয়ার্ক চালু করেন।

অ্যাসাঞ্জের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাগুলো হলো—‘আন্ডারগ্রাউন্ড: টেলস অব হ্যাকিং, ম্যাডনেস ও অবসেশন অন দ্য ইলেকট্রিনক ফ্রন্টিয়ার’ (১৯৯৭), ‘স্টেট অ্যান্ড টেররিস্ট কনসপিরেসিস’ (২০০৬), ‘কনসপিরেসি অ্যাজ গভর্ন্যান্স’ (২০০৬) ও ‘দ্য হিডেন কার্স অব থমাস পেইন’ (২০০৮)।
আন্তর্জাতিক বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এগুলো মধ্যে আছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া পুরস্কার (২০০৯), পাঠকের ভোটে টাইম সাময়িকীর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার ২০১০’, সিডনি শান্তি ফাউন্ডেশনের স্বর্ণপদক (২০১১), সাংবাদিকতায় মার্থা গেলহর্ন পুরস্কার (২০১১) ইত্যাদি। অ্যাসাঞ্জ ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়নও পেয়েছিলেন।

ইউসিএলএর বোয়েল্টার হলের ৩৪২০ নম্বর কক্ষ। এটিই ইন্টারনেটের জন্মস্থান

জুলাই ৩ ১৯৬৯
ইন্টারনেটে প্রথম বার্তা দিল ইউসিএলএ
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো সংযুক্ত করতে পেরেছে। এই কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন নির্মাতার তৈরি ও নানারকম প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা প্রোগ্রামে এগুলো চলে। এটিই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বার্তা প্রেরণের প্রথম উদাহরণ।

ইন্টারেনেটের জন্মস্থানের নামফলক

বইয়ের একটি স্ক্যান করা পৃষ্ঠা সেদিন পাঠানো হয়েছিল অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটে। তাই ইউসিএলএকে বলা হয় ইন্টারনেটের জন্মস্থান।