টুম রেইডার সর্বকালের সফল গেমগুলোর একটি
টুম রেইডার সর্বকালের সফল গেমগুলোর একটি

প্রযুক্তির এই দিনে: ২৫ অক্টোবর

টুম রেইডার গেম প্রকাশিত

সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও ও কম্পিউটার গেম টুম রেইডার মুক্তি পায়। প্রথম সংস্করণের নাম ছিল ‘লারা ক্রফট: টুম রেইডার’।

২৫ অক্টোবর ১৯৯৬
টুম রেইডার গেম প্রকাশিত
সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও ও কম্পিউটার গেম টুম রেইডার মুক্তি পায়। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চলা প্রথম সংস্করণের নাম ছিল ‘লারা ক্রফট: টুম রেইডার’। ভিডিও নির্মাতা ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান কোর ডিজাইন অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ঘরানার এই গেম তৈরি করে। এই গেমের কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছে এক নারী—লারা ক্রফট।

টুম রেইডারের মূল চরিত্র লারা ক্রফট

প্রথম টুম রেইডার তৈরি হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তবে মুক্তি দেওয়া হয় দুই বছর পর। এরপর মোটামুটি প্রতিবছরই নতুন নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে এই গেমের। ২০২২ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৯ কোটি কপি টুম রেইডার বিক্রি হয়েছে। গেমটির মূল চরিত্র লারা ক্রফট হয়ে উঠেছে কিংবদন্তির এক চরিত্র। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও ওয়াক অব গেম—দুটিতেই স্থান করে নিয়েছে টুম রেইডার সিরিজ। চলতি বছর টুম রেইডার রিলোডেড ও দি লারা ক্রফট কালেকশন—এ দুটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। আগামী বছর প্রকাশিত হবে টুম রেইডার ১-৩ রিমাস্টারড গেম।

লারা ক্রফট: টুম রেইডার ছবিতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

টুম রেইডার গেম থেকে এ পর্যন্ত তিনটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। ২০০১ সালে প্রথম মুক্তি পায় লারা ক্রফট: টুম রেইডার ছবিটি। লারা ক্রফটের চরিত্রে অভিনয় করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ২০০৩ সালে এর সিক্যুয়েল লারা ক্রফট: টুম রেইডার—দ্য ক্র্যাডল অব লাইফ মুক্তি পায়। এতেও অভিনয় করেন জোলি।

টুম রেইডার ছবিতে অ্যালিসিয়া ভিক্যান্ডার

২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছে টুম রেইডার। এতে লারার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যালিসিয়া ভিক্যান্ডার। টুম রেইডারের তিনটি চলচ্চিত্রই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই গেম থেকে চলচ্চিত্রের সফল উদাহরণ টুম রেইডার।

যুক্তরাজ্যের ডারবি শহরে কোর ডিজাইনের এই বাড়িতে টুম রেইডার তৈরি হয়েছিল

২৫ অক্টোবর ১৯১০
ভিডিও গেমের পথিকৃৎ উইলিয়াম হেগেনবোথামের জন্ম
মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী উইলিয়াম অ্যালফ্রেড হেগেনবোথাম যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম পরমাণু বোমা তৈরির দলের সদস্য ছিলেন তিনি। তবে তিনি ভিডিও গেমের ইতিহাসেও নিজের স্থান করে নিয়েছেন। ১৯৫৮ সালে তিনি ‘টেনিস ফর টু’ ভিডিও গেম তৈরি করেন। এটি ছিল অ্যানালগ কম্পিউটার খেলার উপযোগী গেম। টেনিস ফর টু ছবিভিত্তিক প্রথম ভিডিও গেমগুলোর একটি। অসিলোস্কোপে গেমটি দেখিয়ে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদন দেওয়া হতো।

উইলিয়াম অ্যালফ্রেড হেগেনবোথাম

১৯৩২ সালে উইলিয়ামস কলেজ থেকে স্নাতক হন হেগেনবোথাম। এরপর তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাডার ব্যবস্থা নিয়ে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে কাজ করেন।
পরমাণু বোমা তৈরিতে অবদান রাখলেও পরে উইলিয়াম অ্যালফ্রেড হেগেনবোথাম পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ আন্দোলনে সক্রিয় হয়েছিলেন। জীবনের একপর্যায়ে তিনি জানিয়েছেন, পরমাণু বোমা নয়, ভিডিও গেমের স্রষ্টা হিসেবে তিনি পরিচিত হতে চান। ১৯৯৪ সালের ১০ নভেম্বর হেগেনবোথাম মারা যান।

উইন্ডোজ ২০০০ অপারেটিং সিস্টেমের পর আসে উইন্ডোজ এক্সপি

২৫ অক্টোবর ২০০১
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এক্সপি প্রকাশিত
৩২ ও ৬৪ বিট প্রযুক্তির পার্সোনাল কম্পিউটারের (পিসি) জন্য উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ করে মাইক্রোসফট করপোরেশন। ‘এক্সপি’ দিয়ে এক্সপেরিয়েন্স বা অভিজ্ঞতা বোঝানো হয়েছে। এটি ছিল উইন্ডোজ ২০০০ ও উইন্ডোজ এমই (মিলেনিয়াম এডিশন বা সহস্রাব্দ সংস্করণ) অপারেটিং সিস্টেমের উত্তরসূরি। ২০০৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে চার বছরের কম সময়ে ৪০ কোটি উইন্ডোজ এক্সপি বিক্রি হয় সমগ্র পৃথিবীতে। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে উইন্ডোজ এক্সপির উত্তরসূরি হিসেবে মাইক্রোসফট বাজারে আনে উইন্ডোজ ভিস্তা অপারেটিং সিস্টেম।