জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেলের চালকদের তেল কিনতে এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কম তেল খরচ করে মোটরসাইকেল চালানো যায়। ফলে খরচ কমবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত জেনুইন স্পেয়ার পার্টস অ্যান্ড সার্ভিসের পরিচালন প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম জানান, অনেকেই জানেন না কীভাবে মোটরসাইকেলের জ্বালানি খরচ কমানো যায়। একটু সচেতন হলেই মোটরসাইকেলে জ্বালানি খরচ কমানো সম্ভব। নিচের বিষয়গুলো মেনে চললে মোটরসাইকেলে জ্বালানি সাশ্রয় করা যাবে।
হাওয়ার কারণে চাকার ওজন কম বা বেশি হয়। চাকার আকার পরিবর্তন হওয়ায় মোটরসাইকেলের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে মোটরসাইকেল চালানোর সময় তেল খরচ বেশি হয়। এ জন্য মোটরসাইকেলের চাকার হাওয়া নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
মোটরসাইকেলে বেশি ওজনের যাত্রী উঠলে বা মালামাল পরিবহন করলে বেশি তেল খরচ হয়। ফলে অতিরিক্ত ওজনের কোনো কিছুই মোটরসাইকেলে বহন করা উচিত নয়।
মোটরসাইকেলের তেলের খরচ কমানোর জন্য ভাঙা রাস্তা এড়িয়ে চলা উচিত। বারবার মোটরসাইকেলের গতি কমানো ও বাড়ানোর ফলে তেল খরচ বেশি হয়।
স্বাভাবিক গতিতে মোটরসাইকেল চালালে যে পরিমাণ তেল খরচ হয়, ঘন ঘন ব্রেক করলে তেল খরচের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। তাই মোটরসাইকেলের জ্বালানি তেলের খরচ কমাতে ঘন ঘন ব্রেক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নির্দিষ্ট গতিতে মোটরসাইকেল চালানে তেলের খরচ কম হয়। অনেকেই অতিরিক্ত গতিতে বা কম গতিতে মোটরসাইকেল চালান। কম বা বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালালে তেল বেশি খরচ হয়।
মোটরসাইকেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্রাংশ এয়ার ফিল্টার। রাস্তায় চলতে গিয়ে ধুলোবালির কারণে অনেক সময় এয়ার ফিল্টার বন্ধ হয়ে যায়। এয়ার ফিল্টারে ময়লা থাকলে ইঞ্জিনে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাতাস প্রবেশ করে, ফলে তেল পোড়ার সময় ইঞ্জিনে কম অক্সিজেন যাওয়ায় বেশি তেল খরচ হয়।
মোটরসাইকেলের জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য নিয়মিত চেন পরীক্ষা করা উচিত। মোটরসাইকেলের চেইন অতিরিক্ত ঢিলে বা টানটান থাকলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। তাই সঠিক মাপে মোটরসাইকেলের চেন ব্যবহার করা উচিত।
কার্বুরেটরের মাধ্যমেই ইঞ্জিনে তেল প্রবেশ করে। আর তাই কার্বুরেটরে ময়লা জমলে ইঞ্জিনেও ময়লা প্রবেশ করে সঠিকভাবে তেল পুরতে বাধা দেয়। আবার কার্বুরেটর সঠিকভাবে টিউনিং করা না থাকলে ইঞ্জিনে তেল বেশি প্রবেশ করে পড়ে যায়। ফলে তেলের খরচ বেশি হয়।