দেশে এখন প্রচুর হাইব্রিড গাড়ি দেখা যায়। এসব গাড়ির হাইব্রিড ব্যাটারি নিয়ে অনেকেরই জানাশোনা কম। হাইব্রিড ব্যাটারির কিছু বিষয় সম্পর্কে না জানলে শুধু ঠকতেই হবে। গচ্চা দিতে হবে হাজার হাজার টাকা।
হাইব্রিড ব্যাটারির জীবনচক্র (লাইফ সাইকেল) ১০ বছরের। আপনার গাড়িতে ২০১২ সালের হাইব্রিড ব্যাটারি লাগানো থাকলে তা এরই মধ্যে সেটির আয়ুষ্কাল অতিক্রম করেছে। আপনি এ মুহূর্তে ২০১২ সালের ব্যাটারি কিনলে; সেটি চরম ভুল সিদ্ধান্ত হবে। অবশ্যই চেষ্টা করবেন, যত সাম্প্রতিক (লেটেস্ট) সময়ে তৈরি ব্যাটারি কেনা যায়।
সেটি জানার জন্য হাইব্রিড ব্যাটারির ওপরের খাপ বা কভার খুলতে হবে। কভারের নিচে যে মডিউলগুলো আছে, সেখানে ‘ডেট কোড’ আছে।
ছবিতে প্রতিটি মডিউলের গায়ে একটি ডেট কোড বা তারিখের সংকেত দেখা যাচ্ছে। এখানে কোডটি হলো 084QHM05743TMB1। এখানে প্রথম ২ সংখ্যা হলো তারিখ। যেমন 08। পরের সংখ্যা বা অক্ষর দিয়ে মাস বোঝায়। ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা। যেখানে ১ মানে জানুয়ারি আর ৯ মানে সেপ্টেম্বর। X মানে অক্টোবর, Y মানে নভেম্বর ও Z হলো ডিসেম্বর। আমাদের ক্রমিক সংখ্যায় আছে 4, এর মানে হলো এপ্রিল মাস।
এর পরের অক্ষরটি হলো বছর। J মানে হলো ২০০৮; বর্ণানুক্রমে পরের বর্ণগুলোতে ১টি করে বছর বাড়বে। যেমন K মানে হলো ২০০৯। উদাহরণের ছবিতে আছে Q। মানে হলো ২০১৫।
তাহলে ছবিতে যে ব্যাটারি প্যাক দেখা যাচ্ছে, তার মডিউলগুলো ০৮ এপ্রিল ২০১৫ সালে বানানো হয়েছে। ব্যাটারিটির সর্বোচ্চ আয়ুষ্কাল ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
কোন অক্ষরে কোন সাল: U ২০১৯, V ২০২০, W ২০২১, X ২০২২, Y ২০২৩ এবং Z ২০২৪।
হাইব্রিড ব্যাটারি হাই ভোল্টেজ আর স্পার্ক সেনসিটিভ। সামান্য ভুলের কারণে ব্যাটারির আয়ুষ্কাল কমে যেতে পারে, তাই যেখানে–সেখানে হাইব্রিড ব্যাটারি পরিবর্তন করা যাবে না। ব্যাটারি পরিবর্তন করার পর, সেটি কত শতাংশ ভালো; তা অ্যাপ বা স্ক্যানারের মাধ্যমে জেনে নিন। মনে রাখবেন, ৪০ শতাংশের নিচে নামলেই ব্যাটারিটি আবর্জনায় পরিণত হবে।
আবুল হাসনাত সোহেল: প্রধান নির্বাহী, ইউনিসলভ