বৈদ্যুতিক গাড়ি
বৈদ্যুতিক গাড়ি

বৈদ্যুতিক গাড়ির আগুন নিয়ে নতুন আতঙ্ক

জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও বৈদ্যুতিক গাড়ির আগুন নেভাতে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। কারণ, বৈদ্যুতিক গাড়িতে থাকা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির আগুন মোকাবিলায় এখনো তেমন কার্যকর প্রযুক্তি বাজারে আসেনি। আর তাই বৈদ্যুতিক গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা বেশ বিরল হলেও তৈরি থাকতে চান অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা।

জ্বালানিতে চলা গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির আগুনের ধরন বেশ আলাদা। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের এসেক্স ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস স্টেশনের ব্যবস্থাপক টেরি মাহের বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির আগুনের উৎস যদি ব্যাটারি হয়, তাহলে সেখানে পৌঁছানো বেশ কঠিন। বৈদ্যুতিক গাড়ির আগুন বাষ্পীভূত বিস্ফোরণও ঘটাতে পারে। এ ধরনের আগুন বাতাস ও পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি করে। এসব কারণে বৈদ্যুতিক গাড়িতে আগুন লাগলে তা পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা।

বৈদ্যুতিক গাড়িতে কোনো আগুনের ঘটনা ঘটলে দুই বা তিন সপ্তাহ পর আবার আগুন ধরার আশঙ্কা থাকে। আর তাই ছোটখাটো আগুন নেভানোর পর বৈদ্যুতিক গাড়িকে অন্য যানবাহন থেকে দূরে রাখতে হয়। পেট্রল বা ডিজেলচালিত গাড়ির আগুন সাধারণত ৩০ মিনিটের মধ্যে নেভানো গেলেও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়।

যুক্তরাজ্যের ফায়ার ব্রিগেড ইউনিয়নের ন্যাশনাল অফিসার রিকার্ডো লা টরে বলেন, ব্যাটারির আগুন নেভানো একটি জটিল ও কঠিন কাজ। সবুজ বা গ্রিন প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাপ দ্রুত বাড়ছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির আগুন নেভানোর বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি বিশেষ প্রশিক্ষণ চালু করা প্রয়োজন।
সূত্র: বিবিসি