পেট্রল-ডিজেলের বিকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল–নির্ভর গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছে বড় বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। জাপানের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের ডার্বিতে নিজেদের কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল–নির্ভর টয়োটা হিলাক্স পিক-আপ মডেলের ১০টি গাড়ি তৈরি করেছে। বর্তমানে গাড়িগুলোর নিরাপত্তা, কর্মক্ষমতা, কার্যকারিতা ও স্থায়িত্ব পরীক্ষা করা হচ্ছে।
টয়োটার তথ্যমতে, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল নিয়ে টয়োটা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করছে। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের মাধ্যমে টয়োটা হিলাক্স টানা ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ চলতে পারে। বর্তমানে হাইড্রোজেনে চলা পাঁচটি গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। আর বাকি পাঁচটি গাড়ি আসন্ন ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমসে প্রদর্শন করা হবে।
টয়োটা হিলাক্স পিক-আপ মডেলের গাড়িটিতে হাইড্রোজেন তিনটি উচ্চ চাপের জ্বালানি ট্যাংকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্যাংকে ২ দশমিক ৬ কেজি হিসেবে মোট ৭ দশমিক ৮ কেজি হাইড্রোজেন ব্যবহার করা যায়। হাইড্রোজেন সেল ওজনে হালকা হওয়ার কারণে কম জ্বালানি খরচে বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি বেশি পণ্যও পরিবহন করা যাবে। যুক্তরাজ্য সরকার হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল–নির্ভর গাড়ি তৈরিতে টয়োটাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে।
জ্বালানি সাশ্রয়ী হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল–নির্ভর গাড়ির ভবিষ্যতে চমক তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপ বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল–নির্ভর গাড়ির বাজার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: টয়োটা