রাজধানীর মগবাজারে মোটরসাইকেলের শোরুম
রাজধানীর মগবাজারে মোটরসাইকেলের শোরুম

অটোমোবাইলস

লাখ টাকার কমে মোটরসাইকেল

জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে প্রতিদিন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যাতায়াত খরচও। সেই সঙ্গে রয়েছে যানজট। আর তাই যাতায়াত খরচে লাগাম টানার পাশাপাশি সময় বাঁচাতে অনেকেই মোটরসাইকেল কেনার পরিকল্পনা করছেন। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করতে তাদের প্রয়োজন কম দামে ভালো মানের নতুন মোটরসাইকেল।

ইয়ামাহা, হোন্ডা, সুজুকি, বাজাজ, হিরো, টিভিএসসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সংযোজন করছে। জ্বালানি এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতার কাছেই ১০০ সিসির মোটরসাইকেল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এসব মোটরসাইকেল নগদ টাকার পাশাপাশি ব্যাংকঋণ নিয়েও কেনা যায়। এক লাখ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন চারটি মোটরসাইকেলের খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

টিভিএস মেট্রো

‘টিভিএস মেট্রো ১০০ সিসি’ মডেলের মোটরসাইকেলটিতে ‘ইকোনোমিটার’ ব্যবহার করায় থ্রটল সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কম জ্বালানি খরচ করে। ফলে প্রতি লিটারে মোটরসাইকেলটি সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম মোটরসাইকেলটিতে সেলফ স্টার্টার সুবিধা থাকায় যেকোনো গিয়ারে চালু করা যায়। ৪ গতির গিয়ারবক্স সুবিধার ১০৩ কেজি ওজনের মোটরসাইকেলটির অশ্বশক্তি ৫.৫ এইচপি। দাম ৮৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

হিরো এইচ এফ ডিলাক্স

ইলেকট্রনিক স্টার্ট (ইএস) সুবিধার হিরোএইচএফডিলাক্স মডেলের মোটরসাইকেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে জ্বালানি সাশ্রয়ী ‘এক্সসেন্স’ প্রযুক্তি। ফলে প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে মোটরসাইকেলটি। চার গিয়ার সুবিধার ১১২ কেজি ওজন মোটরসাইকেলটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার। টিউবলেস টায়ার সুবিধার মোটরসাইকেলটির দাম ৯৫ হাজার ৯৯০ টাকা। তবে রঙের ভিন্নতার কারণে দুই হাজার টাকা বেশি গুনতে হবে। কিস্তিতে কেনার পাশাপাশি পাঁচ বছর বা ৭০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিক্রয়োত্তর সেবাও মিলবে।

বাজাজ প্লাটিনা ১০০ ইএস

১০০ সিসির ‘বাজাজ প্লাটিনা ১০০ ইএস’ মডেলের মোটরসাইকেলটিকে মাইলেজের রাজা বলা হয়। ১১.৫ লিটার জ্বালানি ধারণক্ষমতার মোটরসাইকেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এক সিলিন্ডারের ৪ স্ট্রোক বিশিষ্ট ডিটিএস-আই ইঞ্জিন। ফলে প্রতি লিটার জ্বালানি খরচ করে ৬৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে মোটরসাইকেলটি। এলইডি ডে লাইট রানিং ল্যাম্প (ডিআরএল) ও চওড়া আসনের মোটরসাইকেলটির সামনে এবং পেছনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক। ১০০ সিসি ইঞ্জিন এবং ৭.৯ অশ্বশক্তি সুবিধার মোটরসাইকেলটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পথ চলতে পারে। মোটরসাইকেলটিতে অ্যানালগ স্পিডোমিটার ব্যবহার করা হলেও জ্বালানির পরিমাণ জানাতে রয়েছে ডিজিটাল মিটার। কিনতে গুনতে হবে ৯৯ হাজার টাকা।

সুজুকি হায়াতে ইপি

দেশের বাজারে ১১৩ সিসি ক্ষমতার সর্বনিম্ন দামের মোটরসাইকেল হলো ‘সুজুকি হায়াতে ইপি’। ইএস, বিএস-ফোর ইঞ্জিন এবং ওজনে হালকা হওয়ায় মোটরসাইকেলটি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কার্বোরেটর ইঞ্জিন সুবিধার জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেলটি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে পথে চলতে পারে। ৮.৫৮ এইচপি সুবিধার মোটরসাইকেলটির দাম ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা।

কেনার আগে যা জানতে হবে

মোটরসাইকেল কেনার পর রেজিস্ট্রেশন ফি, রেজিস্ট্রেশন সনদ, নম্বর প্লেট, ইন্সপেকশন ফি ও রোড ট্যাক্সের জন্য খরচ হয়। তাই মোটরসাইকেল কেনার আগে এ বিষয়ে ভালো ধারণা রাখতে হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যমতে, ১০০ সিসি পর্যন্ত এবং ৯০ কেজির কম ওজনের মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ১২ হাজার ৩৯০ টাকা। ১০১ সিসি এবং ৯০ কেজির নিচে হলে ১৩ হাজার ৭৯০ টাকা এবং ৯০ কেজির বেশি হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ১৮ হাজার ৭৯০ টাকা। ১৫ শতাংশ ভ্যাটও দিতে হবে।