ভ্রমণের আগে গাড়ির যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করতে হবে
ভ্রমণের আগে গাড়ির যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করতে হবে

অটোমোবাইল

নিজ গাড়িতে ভ্রমণের আগে যা দেখে নেবেন

এবারের ঈদে বেশ লম্বা ছুটি পাওয়ায় প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাচ্ছেন অনেকে। ফলে ট্রেন, লঞ্চ, বাস সবখানেই রয়েছে যাত্রীদের বাড়তি চাপ। বাস, ট্রেন বা লঞ্চে ভ্রমণের ঝামেলা এড়াতে নিজের গাড়ি নিয়েই দূরের ভ্রমণে যাচ্ছেন অনেকে। নিরাপদে ভ্রমণের আগে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মানতে হবে।

গাড়ির যন্ত্রাংশ পরীক্ষা

যাত্রা শুরুর আগে অবশ্যই গাড়ির ব্রেক, ইঞ্জিন অয়েল, চাকার অবস্থা, চাকায় হাওয়ার পরিমাণ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। গাড়ির বৈদ্যুতিক সেন্সর, রেডিয়েটরের পানি, উইন্ডশিল্ড পরিষ্কারের ওয়াশার ফ্লুইড, লুকিং গ্লাস, ডোর লক, গাড়ি চালু বা বন্ধ করার রিমোটের কার্যক্ষমতা ঠিক আছে কি না, তা–ও জেনে নিতে হবে। এ ছাড়া গাড়ি চলার সময় অতিরিক্ত কোনো শব্দ হলে সে শব্দের কারণ খুঁজে বের করে অবশ্যই সমাধান করতে হবে।

গাড়ি পরিষ্কার

দূরের যাত্রাপথে গাড়ির উইন্ডশিল্ড, লুকিং গ্লাস ও জানালার কাচে বেশ ধুলাবালু জমে। এর ফলে চালকের দেখতে সমস্যা হয়। চলতি পথে এ সমস্যা সমাধানের জন্য বালতি ও কাপড় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি তাৎক্ষণিক চাকায় হাওয়া দেওয়ার যন্ত্রসহ জ্যাক, লাগ রেঞ্জও রাখতে হবে।

জ্বালানি

দূরের পথে যাত্রা শুরুর আগে গাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাড়ির জ্বালানি ট্যাংক বা এলপিজি–সিএনজির সিলিন্ডার পূর্ণ থাকলে ভালো হয়। কারণ, রাস্তায় যানজট হলে বা দীর্ঘসময় পেট্রলপাম্প ও গ্যাসস্টেশনের সন্ধান না মিললে জ্বালানির সংকট হতে পারে। হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যাটারির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।

গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ভ্রমণের আগে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস ছাড়পত্র হালনাগাদ করা আছে কি না, তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে সঙ্গে নিতে হবে।

চালক সুস্থ আছেন তো?

গাড়ির যন্ত্রাংশ পরীক্ষার মতোই চালক শারীরিক বা মানসিকভাবে সুস্থ আছেন কি না, তা ভালোভাবে জানতে হবে। একটানা গাড়ি চালানোর ফলে চালক ক্লান্ত হলে বা চোখে ঝাপসা দেখলে কিছুক্ষণ পরপর রাস্তার পাশে নিরাপদ স্থানে বিরতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাস্তার পাশে থাকা পেট্রলপাম্প বা রেস্তোরাঁয় যাত্রাবিরতি করে মুখ ধোয়ার পাশাপাশি চা পান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ক্লান্তি নিয়ে কোনোভাবেই গাড়ি চালানো যাবে না। নির্দিষ্ট গতিতে পথ চলার পাশাপাশি মহাসড়কে সব সময় বাঁ পাশ দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। অন্য গাড়িকে অতিক্রমের সময় অবশ্যই হর্ন ও পাসিং লাইট (গাড়ি অতিক্রমের আলোকসংকেতবিশেষ) ব্যবহার করতে হবে। কোনো কারণে রাস্তায় থামতে হলে ইমার্জেন্সি পার্কিং লাইট বা হ্যাজার্ড লাইট ব্যবহার করতে হবে।

রাস্তার হালনাগাদ তথ্য

ভ্রমণের আগেই গন্তব্যে যাওয়ার রাস্তায় কোনো সমস্যা বা ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে কি না, তা জানতে হবে। গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে সহজেই এসব তথ্য জানা যাবে। এর ফলে মূল রাস্তায় যানজট বেশি থাকলে আপনি সহজেই বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন। দীর্ঘ সময় গুগল ম্যাপ ব্যবহার করলে স্মার্টফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। সমস্যা সমাধানে গাড়ির পাওয়ার সকেটের সঙ্গে ব্যবহার উপযোগী চার্জারের কেব্‌ল সঙ্গে রাখতে হবে।