এআই দিয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও শনাক্ত করতে নীতিমালা হালনাগাদ করেছে মেটা
এআই দিয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও শনাক্ত করতে নীতিমালা হালনাগাদ করেছে মেটা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কনটেন্ট তৈরির নীতিমালা হালনাগাদ করছে মেটা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি আধেয় বা কনটেন্টের জন্য নীতিমালা হালনাগাদ করছে মেটা। এ হালনাগাদের ফলে আগামী মাস থেকেই এআই দিয়ে তৈরি আধেয়তে ‘মেইড উইথ এআই’ লেবেল বা ছাপ যুক্ত করা হবে। মেটার মালিকানায় থাকা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসে আধেয়র জন্য এই নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। এক ব্লগে এ ঘোষণা দিয়েছে মেটা।

বিদ্যমান নীতি অনুসারে এআই কনটেন্টে লেবেল বা ছাপ যুক্ত করা হয়। তবে এ নীতিমালা খুবই সীমিত পরিসরে কাজ করছে। এ জন্য এআই দিয়ে তৈরি আরও ভিডিও, অডিও এবং ছবিতে ছাপ যুক্ত করতে কাজ করছে মেটা। এআই দিয়ে তৈরি আধেয়তে দুভাবে ছাপ যুক্ত করা হবে। এআই দিয়ে তৈরি আধেয়র বিষয়ে ব্যবহারকারী তথ্য দিলে এবং এআই ইমেজ ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে শনাক্ত করে মেটা ছাপ যুক্ত করে দেবে। তবে এআই দিয়ে তৈরি আধেয় শনাক্ত ও ছাপ যুক্ত করার পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দেয়নি মেটা।

এ ছাড়া এআই দিয়ে তৈরি আধেয় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনছে মেটা। আগামী জুলাই মাস থেকে অন্যান্য কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ না করলে এআই দিয়ে তৈরি বিভিন্ন আধেয় মুছে ফেলা বন্ধ করবে মেটা। তবে বুলিং, ভোটারদের মতামত নিয়ন্ত্রণ করা এবং হয়রানি করার শঙ্কা রয়েছে এমন আধেয় মুছে ফেলবে মেটা।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি প্রকাশ করলেই সেগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জলছাপ যুক্ত করার ঘোষণা দেয় মেটা। ফলে অন্য ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন, ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভুয়া ছবি বা ভিডিও তৈরির পাশাপাশি কণ্ঠস্বর নকল করেও প্রতারণা করছে একদল প্রতারক। পরে এসব ভুয়া ছবি, ভিডিও বা কৃত্রিম কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। পাশাপাশি এআই দিয়ে তৈরি আধেয়র মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি এআই দিয়ে নির্বাচনী বা রাজনৈতিক প্রচারণার বিজ্ঞাপন বানিয়েও ভুল তথ্য প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে। এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও বা অডিওতে কিছু শব্দ তৈরি করা হয় বা দৃশ্য দেখানো হয়, যা ঘটেনি। এমনকি কখনো কখনো কোনো ঘটনার কৃত্রিম ভিডিও তৈরি করা হয়। এসব নকল বা ভুয়া অডিও, ভিডিও বা ছবির মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর পাশাপাশি বিভ্রান্ত করা হয়।

সূত্র: দ্য ভার্জ