সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটযুক্ত ‘কোপাইলট প্লাস পিসি’ ল্যাপটপ এবং ‘রিকল’ সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ১৮ জুন থেকে মাইক্রোসফটের ‘কোপাইলট প্লাস পিসি’ ল্যাপটপগুলোয় এআই প্রযুক্তিনির্ভর রিকল সুবিধা ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এআই চ্যাটবট যুক্ত থাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে ল্যাপটপগুলোয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কাজ করা গেলেও রিকল সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলবে বলে দাবি করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
মাইক্রোসফট নিজেদের রিকল সুবিধাকে নিরাপদ ও এনক্রিপ্টেড বলে ঘোষণা দিলেও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কেভিন বিউমন্ট জানিয়েছেন, রিকল কয়েক সেকেন্ড পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনশট নিয়ে থাকে। এরপর স্ক্রিনশটের তথ্য এআইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করে। ফলে সাইবার অপরাধীদের পাশাপাশি যেকোনো ব্যক্তি চাইলেই অন্যদের ল্যাপটপ ব্যবহারের সব ইতিহাস জানতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, রিকলের সংরক্ষণ করা তথ্য জানতে ম্যালওয়্যার হামলাও হতে পারে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা রিকলকে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ক্ষেত্রে দুঃস্বপ্ন বলে অভিহিত করেছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় রিকল সুবিধার নিরাপত্তাব্যবস্থা জানতে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। তবে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, রিকলের সংগ্রহ করা স্ক্রিনশট শুধু ব্যবহারকারীর যন্ত্রে সংরক্ষণ করা হয়। রিকল সুবিধা চাইলে বন্ধও রাখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, ল্যাপটপের পর্দায় থাকা সব ছবির স্ক্রিনশট নিয়মিত সংগ্রহ করা হলেও সেগুলো ব্যবহারকারীদের যন্ত্রেই সংরক্ষণ করে রিকল। এর ফলে প্রয়োজনীয় তথ্য যেকোনো সময় সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। শুধু তা–ই নয়, মাইক্রোসফট বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান তথ্যগুলো ব্যবহার করতে না পারায় ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নষ্ট হয় না।
সূত্র: দ্য ভার্জ