কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সক্ষমতা মানুষের সমান নাকি বেশি, তা জানতে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সক্ষমতা মানুষের সমান নাকি বেশি, তা জানতে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা বুদ্ধিমান হয়েছে, তা জানতে পরীক্ষার উদ্যোগ

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিও উন্নত হচ্ছে। এর ফলে ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কি মানুষের মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর এআই সেফটি (সিএআইএস) ও স্টার্টআপ স্কেল এআই। ‘হিউম্যানিটিস লাস্ট এক্সাম’ নামের এক প্রকল্পের আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ স্তরে পৌঁছেছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।

সিএআইএসের নির্বাহী পরিচালক ও ইলন মাস্কের এক্সএআই স্টার্টআপের উপদেষ্টা ড্যান হেন্ড্রিকস বলেন, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই ওওয়ান নামের একটি নতুন মডেল প্রকাশ করেছে। এই মডেলের মাধ্যমে বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্তির মানদণ্ড অতিক্রম করেছে।

২০২১ সালেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কতটা কার্যকর, তা জানতে পরীক্ষা করেছিলেন ড্যান হেন্ড্রিকস। ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক স্তরের জ্ঞান ও গণিতের প্রশ্নের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা যুক্তি বোঝার ক্ষমতা রাখে, তা জানতে একটি মডেল তৈরি করেন তিনি। শুরুর দিকে মডেলটির বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এলোমেলোভাবে দিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে ২০২৩ সালে এআই ল্যাব অ্যানথ্রোপিকের করা স্নাতক পর্যায়ের এক পরীক্ষায় প্রায় ৭৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পরে যা ৮৯ শতাংশে উন্নীত হয়।

গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই ইনডেক্স প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্যাটার্ননির্ভর পরীক্ষায় ওপেনএআইয়ের ওওয়ান মডেল মাত্র ২১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। আর তাই বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা মানুষের সমান নাকি বেশি, তা জানতে নতুন পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ পরীক্ষা নেওয়ার আগে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশ্ন সংগ্রহ করবেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। নতুন পরীক্ষায় কমপক্ষে এক হাজার প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

সূত্র: রয়টার্স