এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এখন বিভিন্ন লেখা লিখে নেওয়ার পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, কথা বা কণ্ঠস্বর ও গান তৈরি করা যায়। দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করতে এসব সুবিধা কার্যকর হলেও বেশ উদ্বেগও থাকে। কারণ, অনেকেই এআইয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও বা কণ্ঠ দিয়ে প্রতারণা করে থাকে। আবার এসব আধেয় বা কনটেন্ট ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য বা গুজবও ছড়ানো হয়। তাই এআই দিয়ে তৈরি আধেয় শনাক্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লেবেল প্রদর্শনসহ নানা প্রযুক্তি আনছে। যাতে করে ব্যবহারকারীরা খুব সহজে এআই দিয়ে তৈরি আধেয় শনাক্ত করে পার্থক্য বুঝতে পারেন। এবার ক্রোম ব্রাউজারের জন্য এমনই এক সুবিধা (এক্সটেনশন) এনেছে কল নিরীক্ষা ও প্রতারণা শনাক্তকারী প্রতিষ্ঠান হিয়া। এক্সটেনশনটি বিনা মূল্যেই ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও দিনে সর্বোচ্চ ২০টি কনটেন্ট এটা দিয়ে পরীক্ষা করা যাবে।
এই এক্সটেনশন ব্যবহারের ফলে গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর অডিও বা ভিডিও চালু করলে সেই অডিও বা ভিডিওতে এআই দিয়ে তৈরি নকল কণ্ঠ থাকলে তা শনাক্ত করা যাবে। হিয়া ডিপফেক ভয়েস ডিটেকটর নামে এক্সটেনশনটি আধেয়তে থাকা কণ্ঠ শুনে তা শনাক্ত করতে পারবে। এমনকি সেই আধেয়র কণ্ঠের একটি অথেনসিটি স্কোরও প্রদর্শন করবে এক্সটেনশনটি।
এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন এক্সটেনশনের কার্যকরিতা পরীক্ষা করার প্রতিষ্ঠান এই এক্সটেনশনটি পরখ করে প্রায় ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে নির্ভুল ফলাফল পেয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কিছু এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি এমন মডেল দিয়ে তৈরি নকল কণ্ঠও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে এক্সটেনশনটি। শুধু তা–ই নয়, নতুন যেসব মডেল উন্মোচন হয়েছে, সেগুলো দিয়ে তৈরি নকল কণ্ঠও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ক্রোমের এক্সটেনশনটি।
এআই শনাক্তে কোনো টুল না থাকায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে হিয়ার প্রেসিডেন্ট কুশ পারিখ বলেন, ডিপফেক আধেয় থেকে ব্যবহারকারীরা যাতে বিভ্রান্ত না হন, এ জন্য এসব আধেয় শনাক্তে সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা উচিত। যেহেতু প্ল্যাটফর্মগুলো এ নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করছে না এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের এমন ডিটেকশন টুল নেই, তাই বাছবিচার করে সাবধান থাকার দায়িত্ব শেষমেশ ব্যবহারকারীর ওপর। হিয়ার এই এক্সটেনশনটি ব্যবহারকারীদের এ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
সূত্র: এনগ্যাজেটস