বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের বিভিন্ন কোষের কার্যকারিতা কমতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে শরীরের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজের গতি কমে যায়। আর তাই মানুষের শরীরে বার্ধক্য আসা ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কাজে লাগিয়ে মানুষের শরীরে বার্ধক্য ঠেকানোর নতুন জিন খুঁজে পেয়েছেন চীনের একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, এআইয়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে থাকা নতুন এক জিনের খোঁজ পাওয়া গেছে, যা কাজে লাগিয়ে বার্ধক্য আসা বর্তমানের তুলনায় বেশি দিন ঠেকিয়ে রাখা যাবে।
চীনা বিজ্ঞানীরা প্রথমে মাছির ডিএনএ নিয়ে গবেষণার সময় বিশেষ ধরনের একটি জিনের খোঁজ পান, যা মাছির তারুণ্য ধরে রাখে। পরে মানুষের শরীরে থাকা একটি জিনের সঙ্গে মাছির জিনের সাদৃশ্য খুঁজে পান তাঁরা। ‘ডিআইএমটি১’ নামের মানব জিনটি বর্তমানের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি সময় পর্যন্ত বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে পারে।
গবেষণায় ক্ষতিগ্রস্ত মানব কোষের ওপরে নতুন জিনের পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা যায়, যেসব কোষের মধ্যে নতুন জিন আছে, সেগুলোর বৃদ্ধির হার ৬৫ শতাংশ ধীর গতিতে হচ্ছে। এখন বিজ্ঞানীরা সেই গবেষণার ফলাফল কাজে লাগিয়ে একটি ওষুধ তৈরি করছেন, যা জিনটিকে সক্রিয় করে মানুষের শরীরে বার্ধক্য আসা ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে। গবেষণার ফলাফল নেচার এজিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মানুষের ও কীটপতঙ্গ উভয়েরই জিন কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ার আকৃতি ও গঠন পরিবর্তন করতে পারে। জিন কোষের অক্সিডেশন স্ট্রেসের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে, যা বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় কাজ করে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের কোষ প্রয়োজনীয় শক্তি না পেলে টিস্যু বা শরীরের অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে না। তখন ধীরে ধীরে বার্ধক্যের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন জিন থেরাপি মানুষের শরীরে ব্যবহার করা হাতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল