কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি তথা মেশিন লার্নিংয়ের জন্য কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মৌলিক ভিত্তি উদ্ভাবনের জন্য এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জিওফ্রে ই হিন্টন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড। যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার করে পেয়েছেন তাঁরা। এবার নোবেল পুরস্কারের পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে অবদান রাখা গবেষকদের জন্য নতুন পুরস্কারের প্রচলন করেছেন জিওফ্রে ই হিন্টন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দুনিয়ার গডফাদার হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে ই হিন্টনের প্রচলন করা পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে সেজনোস্কি-হিন্টন পুরস্কার। এই পুরস্কারের সঙ্গে ১০ হাজার ডলারও দেওয়া হবে। প্রতিবছর ৪০ বছরের কম বয়সী দুই বা ততোধিক গবেষক এ পুরস্কার পাবেন। সম্প্রতি কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত নিউরাল আইপিএস সম্মেলনে এ পুরস্কার চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেজনোস্কি-হিন্টন পুরস্কারের সঙ্গে হিন্টন ও টেরি সেজনোস্কি জড়িত। টেরি কম্পিউটেশনাল নিউরোসায়েন্স দুনিয়ার একজন গবেষক। তিনি হিন্টনের সঙ্গে বোল্টজম্যান মেশিনে কাজ করেছেন। হিন্টনের নোবেল পুরস্কারের বাকি অংশ দাতব্য কাজে ব্যয় করা হবে। প্রাথমিকভাবে পুরস্কারের অর্থ পাবে কানাডার অলাভজনক সংস্থা ওয়াটার ফার্স্ট। সংস্থাটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের পানির সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে।
ব্রিটিশ-কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টনের পুরো নাম জিওফ্রে এভারেস্ট হিন্টন। ১৯৪৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। একাধারে কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানী হিন্টনকে ‘গডফাদার অব এআই’ বলা হয়ে থাকে। ১৯৭০ সালে তিনি এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজিতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে ১৯৭৮ সালে পিএইচডি করেন। এরপর দীর্ঘদিন সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ডিয়েগো, কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে ২০১৩ সালে গুগলে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৫ সালে তিনি ডেভিড অ্যাকলে ও টেরি সেজনোস্কির সঙ্গে যৌথভাবে বোল্টজম্যান মেশিন নামের নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। ২০১৮ সালে কম্পিউটার দুনিয়ার নোবেল প্রাইজখ্যাত টুরিং পুরস্কারও পেয়েছেন হিন্টন।
সূত্র: অবজারভার