বিভিন্ন দেশের বড় বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর চ্যাটবট ব্যবহার করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন খাতের অনেক পেশাজীবী চাকরি হারিয়েছেন। চাকরি হারানোর ঝুঁকিতেও রয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার জানিয়েছে, জেনারেটিভ এআইয়ের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা কাজ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং ও রিট্রিভাল অগমেন্টেড জেনারেশনের (আরএজি) মতো নতুন নতুন প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষ না করলে ৮০ শতাংশ সফটওয়্যার প্রকৌশলী ভবিষ্যতে কাজ হারাতে পারেন।
গার্টনারের তথ্যমতে, এআই কখনোই সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের কাজ পুরোপুরি দখল করবে না বরং তাদের কাজের ধরনের পরিবর্তন করবে। এ বিষয়ে গার্টনারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ফিলিপ ওয়ালশ বলেন, এআইয়ের ক্ষমতা ও শক্তি মানুষকে ভাবাচ্ছে। অনেকেই ভাবছেন, এআই হয়তো সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে বা তাঁদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে পারে। তবে জটিল ও উদ্ভাবনী সফটওয়্যার তৈরির জন্য সব সময় মানবদক্ষতা ও সৃজনশীলতা অপরিহার্য। আর তাই এআই ভবিষ্যতে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের কাজের ধরনে পরিবর্তন আনবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৩০০ প্রতিষ্ঠানে এক জরিপ চালিয়ে গার্টনার জানিয়েছে, ৫৬ শতাংশ সফটওয়্যার প্রকৌশলী মনে করেন যে এখন তাঁদের কাজের চাহিদা বেশি। তবে চাহিদা বেশি থাকার পরও এআই বা মেশিন লার্নিং নিয়ে তাঁদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস