মতবিনিময় সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন জুনাইদ আহ্‌মেদ
মতবিনিময় সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন জুনাইদ আহ্‌মেদ

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বললেন

এআই প্রযুক্তি যেন আমাদের সমাজে প্রযুক্তিবৈষম্য বৃদ্ধি না করে

‘আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, এআই প্রযুক্তি যেন আমাদের সমাজে প্রযুক্তিবৈষম্য বৃদ্ধি না করে, বরং এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনার পাশাপাশি সমাজের সবার ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।’ আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এআই প্রযুক্তি নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ। এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)।

সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী এআই প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমাধান, সময়োপযোগী নীতিকাঠামো, নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির নিরাপদ, বিশ্বস্ত ও নৈতিক ব্যবহার সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো এবং এসপায়ার টু ইনোভেট।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা সবার সুবিধার জন্য এআইয়ের শক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। আমরা চাই এমন একটি নতুন ভবিষ্যৎ তৈরি করতে, যেখানে এআই প্রযুক্তি আমাদের সমাজে নৈতিকভাবে অবদান রেখে একটি টেকসই স্মার্ট সমাজকাঠামো গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, ‘এআইয়ের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে আমাদের করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এআই অভিযোজনের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে হবে।’

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এআই প্রস্তুতির বিভিন্ন ধাপ মূল্যায়নের সময় আইন, সামাজিক সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিকগুলো বিবেচনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা এআই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সাল থেকে এআই নিয়ে কাজ শুরু করছি। ফলে ২০১৯ সালে “এআই ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ২০১৯” তৈরি করা হয়। এখন আমরা এআই নীতিমালা এবং এআই আইনে নৈতিকতার বিষয়টি সংযুক্ত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছি।’

ইউনেসকো ঢাকা অফিসের প্রধান হুহুয়া ফ্যান ওআইসি বলেন, ‘এ সভার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কান্ট্রি রিপোর্ট ও এর নীতিগত সুপারিশ তৈরি করার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছি।’

মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী, শিক্ষাবিদ, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।