মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দ্রুত ও নির্ভুলভাবে জানাতে পারে। ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো নিজ থেকে বার্তা, নিবন্ধ বা কবিতাও লিখে দেয় চ্যাটবটটি। আর তাই চ্যাটজিপিটির বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের মতো না কম, তা জানতে আগ্রহী অনেকেই। এমনকি চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী। এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চ্যাটজিপিটির বুদ্ধিমত্তা যাচাই করতে গত সপ্তাহ থেকে পাঁচ স্তরের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে ওপেনএআই। ওপেনএআইয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই পরীক্ষার প্রথম স্তরকে মৌলিক স্তর বলা হচ্ছে। এই স্তরে এআই মানুষের বার্তা বুঝতে পাড়ার পাশাপাশি কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় স্তরে যুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ওপেনএআই বিশ্বাস করে, চ্যাটজিপিটি এখন এই স্তরের কাছাকাছি চলে এসেছে। এই স্তরের চ্যাটবট কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই একজন পিএইচডিধারী ব্যক্তির মতো সমানভাবে মৌলিক সমস্যা সমাধান করতে পারে।
তৃতীয় স্তরের এআই চ্যাটবটকে এজেন্ট বলা হচ্ছে। এ স্তরের এআই সিস্টেম ব্যবহারকারীর পক্ষে স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। চতুর্থ স্তরের এআইকে উদ্ভাবক বলা হচ্ছে। এ স্তরের এআই স্বাধীনভাবে নতুন ধারণা দিতে পারে ও নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে পারে। আর সর্বশেষ পঞ্চম স্তরের এআই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জটিল কাজ করতে সক্ষম।
বর্তমানে ওপেনএআইয়ের কর্মীরা টেস্টিং টুলের মাধ্যমে এআইয়ের সক্ষমতার বিষয়টি পরীক্ষা করছেন। কম্পিউটার বা প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিভিন্ন যন্ত্রের কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য এ ধরনের পরীক্ষা করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ফলে চ্যাটজিপিটির বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ভবিষ্যতে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া