নিজেদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহারকারীদের পোস্ট ও ছবির ক্যাপশনের তথ্য ব্যবহার করছে মেটা
নিজেদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহারকারীদের পোস্ট ও ছবির ক্যাপশনের তথ্য ব্যবহার করছে মেটা

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আপনার পোস্ট ব্যবহার করে এআইকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মেটা

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পোস্ট ব্যবহার করে নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মেটা। এ জন্য গোপনীয়তা নীতিমালাও হালনাগাদ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউরোপে বসবাসকারী অনেক ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, সম্প্রতি মেটা ‘ডেটা শেয়ারিং’বিষয়ক একটি নোটিফিকেশন পাঠিয়েছে। সেখান বলা হয়েছে, মেটা ইউরোপে জেনারেটিভ এআই সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে। এ জন্য মেটার গোপনীয়তা নীতিমালা হালনাগাদ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেটার সাপোর্ট পেজে বলা হয়েছে, মেটার এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের পোস্ট ও ছবির ক্যাপশনের তথ্য ব্যবহার করা হয়। তবে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত কোনো তথ্য প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করে না মেটা।

মেটার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্থানীয় গোপনীয়তা আইন অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের পরিবর্তন সম্পর্কে জানানোর বিষয়ে আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন আইন মেনে চলার অংশ হিসেবে মেটা এ অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন পাঠাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ফিলিপ ব্লুম নামের এক ব্যক্তি মেটার গোপনীয়তা নীতিমালা হালনাগাদের নোটিফিকেশন ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, নতুন এ গোপনীয়তা নীতিমালা ২৬ জুন থেকে কার্যকর করা হবে।

ইউরোপের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা এ বিষয়ে নোটিফিকেশন পেলেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা এখনো কোনো নোটিফিকেশন পাননি বলে জানা গেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নিজেদের বিভিন্ন প্রযুক্তিতে জেনারেটিভ এআই যুক্ত করার জন্য কাজ করছে মেটা। মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে ইতিমধ্যে মেটা এআই চ্যাটবট যুক্ত করার কাজও শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: ম্যাশেবল