টাইমের প্রচ্ছদে এআই ১০০ তালিকা
টাইমের প্রচ্ছদে এআই ১০০ তালিকা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রভাবশালীদের তালিকায় অনিল কাপুর-স্কারলেট জোহানসন

কয়েক বছর ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বিভিন্ন উদ্ভাবন ও ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এআইয়ের অগ্রগতির পাশাপাশি এ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও নৈতিকতা নিয়ে কাজ করা ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকী। চলতি বছরের টাইম ১০০ এআই তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মন্ত্রীদের পাশাপাশি মার্কিন অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসনের নামও আছে। তালিকায় স্থান পাওয়া আলোচিত ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে প্রচ্ছদও প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের নাম, পরিচয়সহ কাজের ধরন দেখে নেওয়া যাক।

টাইম ১০০ এআই তালিকায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আর তাই মেটার মার্ক জাকারবার্গ, গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা, ইনসিট্রোর ড্যাফনে কোলার, ওপেনএআইয়ের স্যাম অল্টম্যান, অ্যানথ্রোপিকের ক্রিস ওলাহ ও দারিও আমোদেই, এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং, রেডডিটের স্টিভ হাফম্যান, পারপ্লেক্সিটির অরবিন্দ শ্রীনিবাস, সিন্থেসিয়ার ভিক্টর রিপারবেলি, সফটব্যাংকের মাসায়োশি সন, ভার্মিলিওর ড্যান নিলির নাম রয়েছে এ তালিকায়।

তালিকায় এআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা অনেক নারীও রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মার্কিন বাণিজ্যসচিব জিনা রাইমন্ডো, কোহের ফর এআইয়ের সারা হুকার, ইউএস এআই সেফটি ইনস্টিটিউটের পরিচালক এলিজাবেথ কেলি, খান একাডেমির প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ক্রিস্টেন ডিসার্বো, ইউকে কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সারাহ কার্ডেল, ওপেন ফিলানথ্রোপির প্রেসিডেন্ট ক্যারি টুনা, মেটারের প্রতিষ্ঠাতা ও গবেষণা প্রধান বেথ বার্নস, হাগিং ফেস ক্লাইমেটের লিড সাশা লুসিওনি, ওপেনএআইয়ের সাবেক বোর্ড সদস্য হেলেন টোনার ও এনইএর প্রেসিডেন্ট বেকি প্রিংলসহ অন্যতম।

তালিকায় বেশ কয়েকজন তারকার নাম রয়েছে। মার্কিন অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন, বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুরের পাশাপাশি তালিকায় জায়গা পেয়েছেন কৌতুক অভিনেতা ও এআই কনটেন্ট (আধেয়) নির্মাতা কিং উইলোনিয়াস, শিল্পী লরেন্স লেক এবং ইউটিউবার মার্কেস ব্রাউনলি। অনিল কাপুর সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারকাদের এআই প্রতিলিপিগুলো ব্যবহার করার জন্য হলিউডের বড় স্টুডিওর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। ভারতের এই অভিনেতা তাঁর এআই প্রতিলিপি ব্যবহার না করার জন্য মামলা করে বিজয়ী হয়েছেন।

দ্বিতীয়বারের মতো টাইম ১০০ এআই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান, অ্যানথ্রোপিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দারিও আমোদেই, এনভিডিয়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেনসেন হুয়াং, মালা-কুইবেক এআই ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ইয়োশুয়া বেনজির, গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেমিস হাসাবিস ও মাইক্রোসফট এআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা সুলেইমান।

তালিকায় বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারক ও সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। তাঁরা হলেন মার্কিন সিনেটর মার্টিন হেনরিচ ও স্কট উইনার, ইউরোপিয়ান কমিশনের কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন, হোয়াইট হাউসের পরিচালক আরতি প্রভাকর, ইউএস এআই সেফটি ইনস্টিটিউটের পরিচালক এলিজাবেথ কেলি, জাতিসংঘের প্রযুক্তি দূত আমানদীপ সিং গিল, মার্কিন বাণিজ্যসচিব জিনা রাইমন্ডো, আবুধাবীর অ্যাডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ কাউন্সিলের মহাসচিব ফয়সাল আল বানানী প্রমুখ।

তালিকায় থাকা লেখক ও বিজ্ঞানীরা হলেন এআই ইমপ্যাক্টসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক কাটজা গ্রেস, অ্যামাজনের আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বিভাগের প্রধান রোহিত প্রসাদ, সেলসফোর্সের বিজ্ঞানী সিলভিও সাভারেস, লেখক আলবার্ট গু, ইনস্টিটিউট অব ডেটা লয়ের অধ্যাপক ঝাং লিংহান।

তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হলেন ১৫ বছর বয়সী ফ্রান্সেস্কা মানি। মানি ও তাঁর বন্ধুরা নকল এআই ছবির কারণে হেনস্তা হওয়ার পর ডিপফেকের বিরুদ্ধে প্রচারণা করে থাকে। তালিকায় সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হলেন চীনের ৭৭ বছর বয়সী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ইয়াও।

সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন