দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবট ব্যবহার করেন অনেকেই
দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবট ব্যবহার করেন অনেকেই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দেওয়া ভুল তথ্য সংশোধনে মাইক্রোসফটের নতুন টুল

চ্যাটজিপিটি, জেমিনি বা কোপাইলটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি চ্যাটবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কাজে লাগিয়ে দ্রুত বড় নিবন্ধ, ই–মেইল বা চিঠি লিখে দিতে পারে। আর তাই দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে নিয়মিত চ্যাটবটগুলো ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে এসব চ্যাটবটের দেওয়া উত্তরে প্রায়ই তথ্যগত বিভিন্ন ধরনের ভুল থাকে। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দেওয়া ভুল তথ্য শনাক্ত করার পাশাপাশি সংশোধনের জন্য ‘কারেকশন’ নামের নতুন টুল এনেছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, টুলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দেওয়া ভুল বা ভুয়া তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে।

মাইক্রোসফটের ক্লাউড প্রযুক্তি অ্যাজুরের এআই কনটেন্ট সেফটি এপিআইয়ের অংশ হিসেবে কারেকশন টুলটি তৈরি করা হয়েছে। টুলটির কার্যকারিতা তুলে ধরে এক ব্লগ বার্তায় মাইক্রোসফট জানিয়েছে, অ্যাজুর এআই কনটেন্ট সেফটির নিরাপত্তাসুবিধা কাজে লাগিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দেওয়া ভুল তথ্য সংশোধন করতে পারে কারেকশন টুল।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিভিন্ন ল্যাংগুয়েজ মডেল নির্দিষ্ট নিয়মে নিজেদের তথ্যভান্ডার থেকে শব্দের মাধ্যমে বাক্য গঠন করে। এর ফলে মাঝেমধ্যে তথ্যগত বেশ কিছু ভুল থেকে যায়। ব্যাকরণগত ভুল না থাকায় এসব বাক্য সঠিক বলে মনে হলেও প্রকৃত তথ্যের ঘাটতি থেকে যায়। এই প্রক্রিয়া সংশোধনের জন্য ‘গ্রাউন্ডিং ডকুমেন্টস’–সুবিধা কাজে লাগিয়ে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে তা সংশোধন করে দেবে কারেকশন টুল। মেটার এললামা, ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটিসহ যেকোনো টেক্সট জেনারেশন এআই মডেলে টুলটি যুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে