টং টং
টং টং

বিশ্বের প্রথম এআই শিশু টং টং

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মানুষের আদলে উপস্থাপক তৈরিসহ বিভিন্ন চরিত্র তৈরি করা হয়েছে বেশ আগেই। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুদের মতো আচরণ করতে সক্ষম এআই শিশু তৈরি করেছেন চীনের বেইজিং ইনস্টিটিউট অব জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (বিআইজিএআই) বিজ্ঞানীরা। শিশুটির নাম টং টং। বিজ্ঞানীদের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম এআই শিশু। এআই শিশুটির মাধ্যমে প্রযুক্তি বিশ্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে টং টং নামের শিশুটি। ফলে শিশুটির অবয়ব শুধু পর্দাতেই দেখা যাবে। তাই চাইলেও শিশুটিকে স্পর্শ করা যাবে না। ভার্চ্যুয়াল জগতের শিশুটির যে বুদ্ধিমত্তা রয়েছে, তা সাধারণত তিন থেকে চার বছর বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে থাকে।

সম্প্রতি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজি প্রদর্শনীতে এআই শিশুটি উন্মোচন করা হয়েছে। নিজে নিজেই বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারে শিশুটি। এমনকি আশপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি রাগও করতে পারে। প্রদর্শনী চলাকালে শিশুটি নিজে থেকেই বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে আনন্দ দিয়েছে দর্শনার্থীদের।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীতে এআই শিশুটির সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য বলেন বেশ কিছু দর্শনার্থী। তাদের কথা শুনে নিজ থেকেই ভার্চ্যুয়াল কক্ষে থাকা এলোমেলো ছবিগুলো গুছিয়ে রাখার পাশাপাশি মেঝেতে পড়ে যাওয়া দুধ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে টং টং। সাধারণত এআই চ্যাটবটগুলো বিস্তারিতভাবে নির্দেশনা না দিলে কোনো কাজ করতে পারে না। তবে টং টং নিজে থেকেই বিভিন্ন কাজ করতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল