কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেন অনেকে। ফলে এসব ছবি গুগলের সার্চ ফলাফলেও দেখা যায়। এআই দিয়ে তৈরি ছবিতে লেবেল যুক্ত করা থাকলেও এসব ছবির মাধ্যমে গুগল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে ভুল তথ্য প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, গুগল সার্চ ইঞ্জিন বিভ্রান্তিকর এআই-জেনারেটেড ফলাফল প্রদান করছে। সম্প্রতি খাওয়ার উপযোগী মাশরুমের বেশ কিছু ছবি নিজেদের সার্চ ফলাফলে প্রদর্শন করেছে গুগল। কিন্তু ছবিগুলো এআই দিয়ে তৈরি হওয়ায় সেগুলো দেখে নিরাপদ মাশরুম শনাক্ত করার সময় বিভ্রান্ত হতে পারেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। বিষয়টিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড হকসওয়ার্থ।
সমস্যাটি প্রথম মাইকোমিউট্যান্ট নামের এক ব্যক্তি শনাক্ত করেন। তিনি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এর মাশরুম ফোরাম আর/মাইকোলজির মডারেটর। তিনি জানান, কোপ্রিনাস কমাটাস নামের মাশরুমের ছবি খোঁজার সময় গুগল এআই দিয়ে তৈরি মাশরুমের যে ছবি প্রদর্শন করেছে, তার সঙ্গে আসল মাশরুমের কোনো মিল নেই। এ বিষয়ে মাইকোমিউট্যান্ট বলেন, ছবির সঙ্গে কোনোভাবেই ভোজ্য মাশরুমের মিল নেই। কিছুটা কাছাকাছি মনে হলেও ছবিটি বাস্তব নয়। গত বছরের মার্চ থেকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে এ ধরনের কয়েক ডজন ভুয়া ছবি দেখা গেছে। এসব ছবির বেশির ভাগই স্টক ইমেজ সাইট থেকে সংগ্রহ করা। যাঁরা আসলে মাশরুম খোঁজ করেন, তাঁরা এসব ছবি দেখে বিভ্রান্ত হতে পারেন। বিষাক্ত মাশরুমের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে ডেভিড হকসওয়ার্থ বলেন, সাধারণ ভোজ্য মাশরুম প্যারাসোল অনুসন্ধান করার সময় শীর্ষ ফলাফল হিসেবে এআই দিয়ে তৈরি ছবি দেখা যায়। সেই ছবি ফ্রিপিক্স সাইট থেকে নেওয়া। যদিও ছবিতে স্পষ্টভাবে একটি প্রিমিয়াম এআই-জেনারেটেড ইমেজ লেবেল দেওয়া আছে। বাস্তবের প্যারাসোল মাশরুমের সঙ্গে সেই ছবির একেবারেই কোনো মিল নেই।
ওয়াইল্ড ফুড ইউকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারলো রেন্টন বলেন, ‘আমি মনে করি এটি উদ্বেগের বিষয়। প্যারাসোল মাশরুম সাধারণ ভোজ্য মাশরুম, যা চারণভূমি ও বনভূমিতে পাওয়া যায়। গুগল ইমেজে দেখানো ছবি এআই দিয়ে তৈরি আর বাস্তবের মাশরুমের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। এআই দিয়ে তৈরি এসব ছবি যাঁরা বনাঞ্চলে মাশরুম খোঁজেন, তাঁদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল