চ্যাটজিপিটির মতো সফটওয়্যারের ব্যবহার কমই দেখা যাচ্ছে
চ্যাটজিপিটির মতো সফটওয়্যারের ব্যবহার কমই দেখা যাচ্ছে

গবেষণা বলছে

আলোচনার তুলনায় ব্যবহার কম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির মতো সফটওয়্যারের নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই কম। এআই সেবা নিয়ে যতটা আলোচনা দেখা যায়, তার তুলনায় এর ব্যবহার নগণ্য। অর্থাৎ এআই যত গর্জে, তত বর্ষে না। একটি গবেষণা সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষকেরা যুক্তরাজ্যসহ ৬টি দেশের ১২ হাজার ব্যবহারকারীর ওপর সমীক্ষা চালান। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ নিয়মিতভাবে এআই সফটওয়্যার বা টুল ব্যবহার করেন বলে উঠে আসে। গবেষণাটি যৌথভাবে করেছে রয়টার্স ইনস্টিটিউট ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তারা বলছে, সার্বিক চিত্রের তুলনায় বয়সভিত্তিক ব্যবহার হারে পার্থক্য রয়েছে। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা এ প্রযুক্তি ব্যবহারে অন্যদের থেকে বেশি উৎসাহী।

এ গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. রিচার্ড ফ্লেচার। তিনি বলেন, ‘এআই নিয়ে যে পরিমাণ আলোচনা ও হুজুগ দেখা যায়, তার সঙ্গে জনগণের আগ্রহের সার্বিক চিত্রের বেশ ফারাক রয়েছে। এ গবেষণায় জেনারেটিভ এআই নিয়ে মতামত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। অধিকাংশ মানুষই বিশেষ করে জেনারেটিভ এআই নিয়ে তেমন আগ্রহী নন। এমনকি যুক্তরাজ্যের ৩০ শতাংয় মানুষ চ্যাটজিপিটির মতো সুপরিচিত টুলের নামও শোনেননি।’

অবশ্য জেনারেটিভ এআই নিয়ে মানুষের ইতিবাচক ও নেতিবাচক ধারণার প্রবণতা ও এর কারণ উঠে এসেছে। ফ্লেচার বলছেন, খাত অনুযায়ী মানুষ জেনারেটিভ এআই নিয়ে ভিন্ন ধারণা পোষণ করেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ মানুষ বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য খাতের জন্য জেনারেটিভ এআইয়ের বিষয়ে খুবই আশাবাদী। আবার সংবাদ ও সাংবাদিকতায় এর ব্যবহারে খানিকটা শঙ্কিত। তবে সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তার নিজেদের কর্মক্ষেত্রে এর প্রভাব নিয়ে। নিজেদের কাজের অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ বেশি।

গবেষণা সমীক্ষাটি অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়। একটি অনলাইন প্রশ্নমালা দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করা হয়। এ সমীক্ষায় অংশ নেন আর্জেন্টিনা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ।

সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স