বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ২৪ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষকদের জন্য স্নাতক ফেলোশিপ কর্মসূচি চালু রেখেছে। চলতি বছরের ফেলোশিপ কর্মসূচির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রকল্প বিবেচনা করে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
গবেষকদের প্রাতিষ্ঠানিক কৃতিত্ব, কোন অধ্যাপক বা সুপারভাইজারের থেকে মনোনয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্র বেছে নেওয়া হবে, ফেলোশিপ প্রদানের ক্ষেত্রে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এনভিডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই কর্মসূচিকে আধুনিক উদ্ভাবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করার একটি দুর্দান্ত উপায় হিসেবে মনে করে। একই সঙ্গে চিপশিল্পে ভবিষ্যতে যাঁরা নেতৃত্ব দেবেন, তাঁদের এনভিডিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেও এই ফেলোশিপ একটি কার্যকর উপায়।
এই স্নাতক ফেলোশিপ পিএইচডি গবেষকদের ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত তহবিল দিয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, স্বয়ংক্রিয় যানবাহন ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যাঁরা গবেষণা করতে চান, তাঁদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। গবেষকেরা শুধু গবেষণার জন্য অর্থ পান না, এনভিডিয়ার সব পণ্য, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানী-গবেষকদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পান। ফেলোশিপের অংশ হিসেবে বাধ্যতামূলক গ্রীষ্মকালীন শিক্ষানবিশিতে অংশগ্রহণ করবেন গবেষকেরা।
নির্ধারিত বিষয়ে গবেষকদের অবশ্যই পিএইচডি স্তরে প্রথম বছর শেষ করতে হবে। কম্পিউটার বিজ্ঞান, কম্পিউটার প্রকৌশল, সিস্টেম আর্কিটেকচার, তড়িৎ প্রকৌশল বা সংশ্লিষ্ট কোনো ক্ষেত্রে স্নাতক হতে হবে। অবশ্যই পিএইচডি থিসিসের অংশ হিসেবে সক্রিয় গবেষণায় নিযুক্ত থাকতে হবে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একজন পূর্ণকালীন সক্রিয় পিএইচডি গবেষক হিসেবে অবশ্যই ৯ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইসরায়েল ও তাইওয়ানে এনভিডিয়ার গবেষণাগারে ফেলোশিপের অংশ হিসেবে গ্রীষ্মকালীন শিক্ষানবিশি করার আগ্রহ থাকতে হবে। গবেষণার জন্য অর্থ শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় থিসিস প্রস্তাব, জীবনবৃত্তান্ত, সুপারিশপত্র থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে যে কেউ এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে এই ওয়েবসাইটে (https://research.nvidia.com/graduate-fellowships)।