পৃথিবীর প্রথম পেশাদার কম্পিউটার গেম খেলোয়াড় (গেমার) হিসেবে গণ্য জনাথন ওয়েন্ডেল যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১
প্রথম পেশাদার কম্পিউটার গেমার জনাথন ওয়েন্ডেলের জন্ম
পৃথিবীর প্রথম পেশাদার কম্পিউটার গেম খেলোয়াড় (গেমার) হিসেবে গণ্য জনাথন ওয়েন্ডেল যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। জনাথন ওয়েন্ডেল ‘ফ্যাটালিটি’ নামেও পরিচিত। ১৯৯৯ সালে সাইবারঅ্যাথলেট প্রফেশনাল লিগে (সিপিএল) অংশ নিয়ে পেশাদার গেমার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ওয়েন্ডেল। সিপিএলে তৃতীয় স্থান দখল করে তিনি চার হাজার ডলার পুরস্কার পান। সিপিএলে নিজের খেলা চালিয়ে যান তিনি, একাধিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার পুরস্কার পান। ২০০১ সালে ওয়েন্ডেল সিপিএল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এলিয়েন বনাম প্রিডেটর-২ গেমে জয় পান। ২০০২ সালে সিপিএলের শীতকালীন আসরে জিতে তিনি ২০০৩ সালে দ্য আনরিয়েল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন। ডুম-৩ গেমেও সফল হন ওয়েন্ডেল। ২০০৪ সালে কোয়েককন ২০০৪-এর প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হন, এটি দিয়ে টানা পাঁচবার ভিডিও গেমের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০০৬ সালে পেশাদার গেমার-জীবন থেকে অবসর নেন। কম্পিউটার গেমার–জীবনে জনাথন ওয়েন্ডেল সাড়ে চার লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার পেয়েছেন।
অবসর নিলেও ই-স্পোর্টসের নানা আয়োজন ও প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নেন ওয়েন্ডেল। কম্পিউটার গেমের বিস্তারে তাঁর অবদান রয়েছে। ২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল ভিডিও গেম হল অব ফেমে স্থান পায় জনাথন ওয়েন্ডেলের নাম। টাইম সাময়িকী, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ফোর্বস, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের মতো বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। ই–স্পোর্টস তাঁকে আজীবন সম্মাননা জানিয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও ওয়েন্ডেলের নাম উঠেছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
ক্রে রিসার্চ কিনে নেয় এসজিআই
সিলিকন গ্রাফিকস ইনকরপোরেটেড (এসজিআই) ৭৬ কোটি ৭০ লাখ ডলারে ক্রে রিসার্চকে কিনে নেয়। ক্রে রিসার্চ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চগতির কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ক্রে রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা সেইমুর ক্রে তাঁর ৪০ বছরের বেশি সময়ের পেশাজীবনে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন। এসব সৃজনশীল ও শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার প্রতিরক্ষা, আবহাওয়া ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০
৩০০ কোটি মানুষের ছবি চুরি হওয়ার ঘটনা
ক্লিয়ারভিউ এআই নামে একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ জানায় যে তাদের কাছে থাকা গ্রাহক তালিকার পুরোটাই হ্যাকারদের হাতে চলে গেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর চেহারা শনাক্ত করার কাজ করত ক্লিয়ারভিউ এআই। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের তথ্যভান্ডারে থাকা ৩০০ কোটি মানুষের ছবির পুরোটাই হ্যাকাররা চুরি করেছে। ক্লিয়ারভিউ এআই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার (বর্তমানে এক্স) ও ইউটিউব থেকে ৩০০ কোটির বেশি ছবি সংগ্রহ করেছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নিউইয়র্ক টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ছবি চুরির ঘটনা প্রকাশিত হলে ক্লিয়ারভিউ এআই বিষয়টি স্বীকার করে।
সূত্র: সিএনএন